

সোহেল আহমেদ ভূঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ :
হানিফ রানা, আপোষ না মানা সৈনিক। সে স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকে কর্ম জীবনে পদার্পণ করেন। কেননা তার উপরে সংসারের দায়িত্ব চলে আসে। এরই ভিতরে এসএসসি পরীহ্মা ১৯৯৯ সালে পাশ করে।

নারায়ণগঞ্জের এন আর গার্মেন্টস এ দীর্ঘ সময় ছিলেন , পাশাপাশি পড়াশুনাও চালিয়ে গেলো। বাবা-মা, ২ বোন নিয়ে হানিফ রানার সংসার। তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বাসায়ই থাকতো। এর মাঝে তার বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেলো।
এরই মাঝে রানা কয়েকটি চাকুরী রদবদলও করে ফেললো। তার রদবদলের একটি কারণ হচ্ছে আপোষ না করা। সে তার কাজের ব্যাপারে কোন আপোষ করে। উচিত কথা বলতে মালিককে ছাড় দেয় না। আর এসবের জন্য তার চাকরী রদবদল করা লাগে। হানিফ রানার স্বপ্ন ছিলো একটা সময়ে নিজের একটা প্রতিষ্ঠান দাড় করানো। দীর্ঘ ২৩/২৪ বছর অন্যের গোলামী করার পর , সে পার্টনার নিয়ে ২০১৯ সালে একটি বায়িং হাউজ চালু করেন ঢাকার নিকুঞ্জে। একটি বায়ার নিয়ে তার সে নতুন সংগ্রাম শুরু করেন।
হাটিহাটি পা পা করে নিজেকে একটা ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে সহ্মম হয়েছেন তিনি। ভূঁইগড়ে একটা জায়গা কিনেছেন। ২০২২ সালে পার্টনার নিয়ে একটি ফ্যাক্টরী চালু করেন ডেমরাতে। ছোট আকারেই ফ্যাক্টরী নিয়েছে।
তার নিজের বায়ারের কাজ এখন সে নিজের ফ্যাক্টরীতে করে থাকে। ব্যবসা ভালো যাচ্ছে। সেই কারণে মনস্থির করলো এবার নিজের একটা বাড়ী বানাবে। ভাড়া বাসায় তো অনেক বছর কাটালো। কিন্তু তার আগে মেঝো বোনের বিয়ে দিয়ে দিলো। যেনো তার অনেকটা দ্বায়িত্ব কমে গেলো।
মায়ের একটা স্বপ্ন ছিলো , ছেলে নিজের বাড়ী বানাবে। ২০২৪ সালে নিজের কেনা জায়গাতে বাড়ীর কাজ শুরু করে দিলো। তার একটা কষ্ট ছিলো, তার বাবা এতো সুখ দেখে যেতে পারলো না। তাই সে তার বাড়ীর নাম তার বাবার নামে নামকরন করলো। এখন হানিফ রানা ৭০/৮০ জনের পরিবার চালাচ্ছে। তার স্বপ্ন নিজের জায়গার উপর তার ফ্যাক্টরী হবে এবং আরো কয়েকটি পরিবার যেনো তার দ্বারা উপকৃত হয়। প্রতিটি মানুষ কষ্ট করেই নিজেকে একটা ভালো অবস্থানে নিতে পারে। তার সকল কাজে থাকতে হবে সততা ও নিষ্ঠা।









