মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার

নাজমুল ইসলাম হৃদয়, হবিগঞ্জঃ

মাদক জাতির মেরুদন্ডকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং যুব সমাজকে গ্রাস করে নিচ্ছে। সেই মাদক নিয়ন্ত্রনে কঠোর ভাবে কাজ করছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান ।

অপরাধ নির্মুলে পুলিশের নেতৃত্ব সবসমই চ্যালেঞ্জিং।সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই সমাজের মাদক, ছিনতাই, চুরি,ডাকাতি,ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং সহ সব ধরণের অপরাধ নির্মুল করে হবিগঞ্জের সাধারণ মানুষকে নিরাপদ রাখার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জেলা পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান । তিনি মাদক,সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ছিনতাইকারীসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন।

সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। আর এজন্যই মাদক ও ছিনতাই রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তার নেতৃত্বে জেলার সকল থানার পুলিশ।

পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমানের নির্দেশনায় অপরাধমুক্ত জেলা উপহার দিতে ইতোমধ্যেই ৯টি উপজেলার মধ্যে পুলিশের মাদক নিয়ন্ত্রনে বিশেষ টিম কাজ করছে। ইতিমধ্যে প্রায় মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে গেছে। এখন পর্যন্ত হবিগঞ্জ মাদকের বড় বড় কয়েকটি চালান তিনি আটক করেছেন। আন্ত-জেলা মাদক কারবারিরা মহাসড়কে ছন্মবেশ ধারন করে মাদক পাচার করে ফলে সেখানে পুলিশের বিশেষ টহল টিম এসব মাদক ব্যবসায়ীকে পাকড়াও করার কারনে তারা এখন বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে। হবিগঞ্জ জেলার সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে যাতে মাদক পাচাররোধ করা যায়‌ সেই দিকে তিনি নজরদারি বৃদ্ধি করেছেন। ভারতীয় মাদক রোধে পুলিশ সুপার নিজে দিকনির্দেশনা দিয়ে অভিযান পরিচালনা ও পুলিশ নজরদারি টহল বৃদ্ধি করেছেন।
এতে শক্তিশালী সোর্স নিয়োগ করেছে। ফলে মাদক কারবারিদের আতংকের নাম হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান ।

তিনি মাদক কারবারিদের চক্ষুশূল হলেও সাধারন জনতার কাছে প্রশংসায় ভাসছেন । সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে পুলিশ সুপারকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সচেতন মহল। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তিনি অনেক প্রশংসায় ভাসছেন। হবিগঞ্জের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করে সুশীল সমাজের কাছে প্রশংসা পাচ্ছেন। মাদকের বিরুদ্ধে সেই জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বিশেষ অভিযান পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনা মোতাবেকে গত ১৫ দিনে ১২টি অভিযানে ১শ ৩২ কেজি গাজা, ৮শ কেজি ভারতীয় ফুচকাসহ মাদকের বিশাল চালান ও ২০জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৮ ঘটিকার সময় চুনারুঘাট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চুনারুঘাট পৌরসভার বান্নিপার্ক রেস্টুরেন্টের সামন থেকে দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে ৬ কেজি গাজাসহ আটক করে। একই দিনে সকাল ১০ টায় হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের অভিযানে পুরাতন ঢাকা সিলেট মহাসড়কের চুনারুঘাট চন্ডি মাজার গেইট থেকে ১৫ কেজি গাজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। গত ১৯ অক্টোবর বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ৫ কেজি গাঁজাসহ ২ গাঁজা ব্যবসায়ীকে আটক করে। এছাড়া গত১৫ অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ সদর থানার পাইকপাড়া বাইপাস এলাকা থেকে ৩০৮ পিস ইয়াবা সহ একজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করে এবং ১৪ অক্টোবর শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ ওলিপুর স্কয়ার কোম্পানির সামনে থেকে ৭০ কেজি গাজা আটক করা হয়। এসময় গাজা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। গত ১৩ অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ওলিপুর রেল ক্রসিংয়ের মেষ মাথায় রাস্তা ডিভাইডারে সামন থেকে ৮শ কেজি ভারতীয় ফুচকাসহ ৩ চোরাকারবারিকে আটক করা হয় । ১১ অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ শহরে আধুনিক স্টেডিয়াম এর সামনে থেকে ৮ কেজি গাজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। ১০ অক্টোবর হবিগঞ্জ বাহুবল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মীরপুর এলাকার রঘুরামপুর থেকে ১২ কেজি মাদকসহ একজনকে আটক করা হয়। ৭অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া বাজারের কাঁচাবাজার এলাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকার জাল নোটসহ দুইজনকে আটক করে। ৩ অক্টোবর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে সদর থানা এলাকা থেকে ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ১৫ বোতল ইস্কোপ কগ সিরাপ, এককেজি ৫শ গ্রাম গাজাসহ দুইজন,একই দিনে চুনারুঘাট থানাধীন গোল চত্বর এলাকার শ্যামলী বাস কাউন্ডারের সামনে থেকে ৪কেজি গাজা সহ একজনকে আটক করা হয়।

হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছি। পুলিশ যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য দিবারাত্রি কাজ করছে। মাদক নির্মুলের জন্য পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করছে। আমরা সার্বক্ষনিক সোর্স নিয়োগ করেছি। কোন অবস্থায় যাতে মাদক কারবারিরা আমাদের চোখে ফাঁকি দিতে না পারে । তিনি বলেন, মাদক নির্মুল কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিগত এক মাসে ১৫/২০ টি চালান আটক করেছি। মাদক কারবারিদের মধ্যে তীব্র আতংক সৃষ্টি হয়েছে। হবিগঞ্জে যতদিন আছি তাদের যমদূত হয়ে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।

প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

 

ডায়াবেট্সি হলে কি করবেন?

শেয়ার করুন
প্রিয় সময় ও চাঁদপুর রিপোর্ট মিডিয়া লিমিটেড

You might like

About the Author: priyoshomoy