

জিল্লুর রহমান :
তাড়াশ উপজেলার পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এখানে গড়ে উঠেছে প্রায় ৬ থেকে ৭টি ইটভাটা, যার অধিকাংশই চলছে অবৈধভাবে—না আছে সরকারি লাইসেন্স, না আছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এরা বছরের পর বছর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কখনো আওয়ামী লীগের ছায়ায়, কখনো বিএনপির—ক্ষমতার পালাবদলে বদলায় শুধু রঙ, কিন্তু অপরাধ থেকে যায় একই।

এই ভাটাগুলোর চারপাশে রয়েছে ঘন জনবসতি। ধোঁয়ার বিষে নষ্ট হচ্ছে ঘরের চাল, ফলের গাছ, সবুজ বনানী। মৌসুমি ফলের উৎপাদন কমে গেছে, আর যেটুকু পাওয়া যায়, তা আকারে ছোট ও পুষ্টিহীন। স্থানীয়রা বলছেন, যেসব ভাটার আশেপাশে বসতি রয়েছে, সেগুলো অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
বিশেষ করে সাদিয়া ইটভাটার আশেপাশে রয়েছে অসংখ্য পরিবার। চিকনির ধোঁয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা—শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, চর্মরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছে মানুষ। পরিবেশ অফিসের কর্মকর্তারা বছরে একবার এলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বিনিময় করে চলে যান। স্থানীয় প্রশাসনও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে জরিমানা করে—৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু ভাটা ভাঙা তো দূরের কথা, ব্যবসা চলে আগের মতোই। লাভের ভাগ যায় কিছু ‘স্যারদের’ পকেটে, আর ক্ষতির বোঝা বইতে হয় সাধারণ মানুষকে।
এলাকার সচেতন জনগণ বলছেন, এই কালো ধোঁয়া শুধু মানুষের স্বাস্থ্য নয়, ধান চাষেও ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। ফলন কমে যাচ্ছে দিন দিন। যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, একদিন হয়তো তাড়শ থেকে ধান চাষই উঠে যাবে।
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫











