মো. শিপন, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার ছোট-বড় হাট বাজারে মানুষজন যেতে পারছে না, তাই পাড়ামহল্লার মুদি দোকান গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে করোনার আতংক দেখিয়ে বুধবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে পাগলা ঘোড়ার মত বাড়াচ্ছে পাড়ামহল্লার মুদি দোকানদাররা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরের পাড়া মহল্লার কিছু অসাধু মুদি ব্যবসায়ীরা এ কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে ক্রেতারা জানান। ৩০ টাকা প্রতিকেজি দেশী পিয়াঁজ বিক্রি হয়েছে আজ ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে নারায়ণগঞ্জের পাইকারী আড়তে পিয়াজ উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৮ই এপ্রিল) খুচরা বিক্রি ১১০ টাকা কেজি মশুরির ডাল ১৪০টাকা কেজি দামে বিক্রি করছে। ৬৫ টাকার চিনি ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি এলাকার এক ক্রেতা প্রিয় সময়কে জানান, পরিবহনসহ নানান জটিলতার কারণ দেখিয়ে প্রতিনিয়তই পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানদাররা দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ নেই।
সিদ্দিরগঞ্জের হাউজিংএও একই অবস্থা বিরাজমান। লাগামহীন দ্রব্যমূল্য। যে যেমন পারছে ইচ্ছেমতো দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ করে রাখছে।
এক ক্রেতা জানান, ১০ কেজি চালের মূল্য এক দোকানে ৬৫০ টাকা, আরেক দোকানে ৬০০ পরে অন্য এক দোকান থেকে ৫৮০ এাকায় ক্রয় করেন।
কাচা বাজারে, পিয়াজ ৫০, আলু ৩০ টাকা, সবজি হাতের নাগালে। মাছ নেই বললেই চলে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ভূইয়া পাড়ার মো. আরিফুর রহমান নামে একজন ক্রেতা জানান, স্থানীয় থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী উদ্যোগ নিলে কিছুটা সমাধান হতে পারে।
এছাড়া মাছ, ডাল, দেশী মুরগী, পোল্ট্রি মুরগী, দেশী গরুর গোশত, তৈল, আটাসহ সকল প্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম বেড়েই চলছে। মহল্লার কিছুসংখ্যক অসাধু মুদি দোকানদাররা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি মজুত করে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নারায়নগঞ্জের প্রশাসনের এ বিষয়ে সু-নজর দাবি নারায়ণগঞ্জবাসী।