গোপালগঞ্জের রাজপাট ইউনিয়নে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে

 

মো. জান্নাত মোল্যা, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :

গোপালগঞ্জ জেলার রাজপাট ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে করোনা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। সেখানে রাজপাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মো. ইউনুস মোল্যাসহ ধোপাপাড়া গ্রামের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক মিলে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেন। তারা গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে দেখেন যে এই এলাকায়, বাইরের এলাকার কোনো ব্যক্তি গ্রামে প্রবেশ করেছে কিনা?


তারা জানান, গ্রামের বাইরে থেকে কেউ আসলে, তাদের কোয়ারিনটাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ১৪ দিন নিজ বাসা থেকে বের না নির্দেশ দিয়েছেন। যদি কখনো তাদের বাইরে দেখা যায়, তবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

ধোপাপাড়ার মতো শুক্তাগ্রাম,নাটগ্রাম,বরইহাটসহ প্রায় প্রতিটি গ্রামে এমনভাবে টহল দেওয়া হচ্ছে। তারা দেখছেন দেশের বাইরের, অন্যান্য বিভাগ বা অন্য জেলার কেও এই এলাকাই প্রবেশ করছে কি না।

অন্যদিকে আজ কাশিয়ানিতে মাইকিং করে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। যদি কারো প্রয়োজন হয়, তবে যেন সে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে। ঘোষনায় আরও বলা হয় সন্ধ্যা ৬ টার পরে কাউকে রাস্তায় দেখা গেলে তাদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় স্বামী-স্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ওই দুইজনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানান গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকার একটি মুদি দোকানে চাকরি করতেন ওই ব্যক্তি। গত ৪ এপ্রিল তিনি তার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকা থেকে তার শ্বশুরবাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে যান। পরদিন ৫ এপ্রিল তিনি টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। গত ৬ এপ্রিল তার বাবা শিবচরে গিয়ে পুত্রবধূ ও দুই নাতিকে টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে আসেন।

স্থানীয় লোকজন খবরটি উপজেলা প্রশাসনকে জানালে ৭ এপ্রিল স্বামী-স্ত্রীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসীম উদ্দিন বলেন, করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। নিয়ম অনুযায়ী সেখানে তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে তাদের বাড়িসহ আশপাশের পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।