প্রবাসীদের করোনা সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করছে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন

কুয়েতে আকামা নবায়নের সুযোগ পাবেন না যারা

প্রবাস ডস্ক :
কুয়েতে মার্চের পূর্বে আকামার মেয়াদোত্তীর্ণ হলে পুনরায় নবায়নে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ কুয়েতে যাদের আকামা ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে গেছে অথচ নবায়ন করা হয়নি তাদের জন্য আকামা নবায়নের সুযোগ আর থাকছে না।

দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস জানায়, যাদের আকামা মার্চের আগে শেষ হয়ে গেছে, তারা বর্তমান চলমান সাধারণ ক্ষমা এর সুযোগ গ্রহণ করে ফের নতুন ভিসা নিয়ে কুয়েত প্রবেশ করতে পারেন।

সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদোত্তীর্ণ আকামা সিস্টেমে ব্লক করা হয়েছে।

আরো জানানো হয়, মার্চের পূর্বে আকামা শেষ হওয়া প্রবাসীরা উপসাগরীয় দেশ গুলোতে কালোতালিকাভুক্ত এড়াতে তাদের জন্য একমাত্র বিকল্প চলমান সাধারণ ক্ষমার সুযোগে কুয়েত ছাড়তে হবে।

প্রবাসীদের করোনা সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করছে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন

বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ করোনা মহামারীর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডে করোনা প্রতিরোধে ঘোষিত লক-ডাউনের পর থেকেই এ দু-দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের করোনা মহামারী সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।


এ প্রেক্ষিতে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ হাই কমিশন যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া ও বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। যুক্তরাজ্যে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিক এবং বাংলাদেশে আটকে পড়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের কনস্যুলার সেবা এবং ভ্রমণ বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করছে।

এছাড়া মৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃতদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দপ্তরের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করা, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন, বাংলাদেশি-ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসকদের সমন্বয়ে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে একটি কভিড-১৯ স্বেচ্ছাসেবক চিকিৎসা প্যানেল গঠন করেছে ও একটি সার্বক্ষণিক নিবেদিত কভিড-১৯ হেল্প লাইন চালু করেছে।

এই হেল্প লাইনটিতে যারা এদেশের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসের আওতাভুক্ত নন, যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী অথবা বয়োবৃদ্ধ ও বাংলা ভাষায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তারা কভিড-১৯ সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট হেল্প লাইনে যোগাযোগ করার পর হাই কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্বল্প সময়ের মধ্যেই হাই কমিশনের কভিড-১৯ স্বেচ্ছাসেবক চিকিৎসা প্যানেল হতে যে কোনো চিকিৎসকের সাথে সংশ্লিষ্ট রোগীর সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনের কভিড-১৯ সংক্রান্ত ২৪/৭ হেল্প লাইন নম্বরটি হলো +৪৪-৭৪৫৯৬১৬১৯৭।

ভয়াবহ করোনা মহামারীর দুঃসময়ে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুস্থতা, সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা করে বলেন, বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন করোনা মহামারীর এ সংকটে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে কোনো সহায়তায় তাদের পাশে দাঁড়াতে সদা সচেষ্ট থাকবে।