করোনায় চাঁদপুরে সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউনের চিত্র

মরণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সারা বাংলাদেশের সাথে জেলা প্রশাসন ঘোষিত চাঁদপুরকেও হোম কোয়ারেন্টাইন ঘোষনা করা হয়।

একই সাথে এই মহামারী থেকে রক্ষা পেতে মানুষকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে চিকিৎসকদের পরামর্শ। করোনা ভাইরাস থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখতে, সচেতনতা বৃদ্ধি করে সকলকে ঘরে থাকতে পুরো জেলা জুড়ে লকডাউন ঘোষনা করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন।

আর এই লকডাউন স্বার্থক করতে প্রতিদিন চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, সেনা সদস্য ও পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা প্রতিনিয়ত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।

প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর সদস্যরা কঠোর ভাবে দায়িত্ব পালন করলেও জনসাধারণের অসচেতনতার কারনে ভেস্তে যাচ্ছে যেনো চাঁদপুর শহরের লকডাউন।

দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সচেতন মহলের অনেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও তা মানছেন না অনেক অসচেতন মানুষ।

প্রতিদিনই দিনের বেলায় চাঁদপুর শহরে বেড়ে যায় বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের কালী বাড়ি মোড় হতে পাল বাজার গেট পর্যন্ত থাকে বিভিন্ন যানবাহন, তরকারি বিক্রেতা ও মানুষের আনাগোনা।

মরণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে যেখানে বলা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। সেখানে দেখা গেছে বিভিন্ন হাট বাজারে, কিংবা ত্রানের সহায়তা পেতে সাধারণ মানুষ জড়োসড়ো হয়ে ভিড় জমিয়ে তাদের প্রয়োজন মিটাচ্ছেন।

মঙ্গলবার সকালে কালী বাড়ি মোড় হতে পালবাজার গেট পর্যন্ত সরজমিনে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের মতোই এই মহামারীতে সাধারণ মানুষজন রাস্তা ঘাটে ভিড় জমিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় বিক্রয় এবং হাটা চলা করতে দেখা করছেন। এতে কি করোনা পরিস্থিতে আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং লকডাউন সাফল্য হচ্ছে কি?

ছবি ও প্রতিবেদন : কবির হোসেন মিজি