করোনা পরিস্থিতিতে ভালো নেই চাঁদপুরের নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো

কবির হোসেন মিজি :

মহামরী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ভালো নেই চাঁদপুরের নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো। তাই না বলা কথাগুলো কাউকে বলতে না পেরে চাপা কষ্ট বুকে নিয়ে কোন রকমে দিনপার করছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।

চলমান এই মহাদূর্যোগ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রায় দেশের প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ভাবে ঘরেবন্দী। আর এসময় সাধারণ অসহায় ও দুঃস্থ পরিবার গুলো সরকারি ও বেসরকারি ভাবে সাহায্যে সহযোগিতা পেয়ে কোন ভাবে দিনানিপাত করলেও চরম বিপাকে রয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো।

কারন তারা একদিকে পারছে না কারো কাছে কোন কিছু মূখখুলে চাইতে আবার পারছে না চলমান এই পরিস্থিতি কোন ভাবেই মেনে নিতে।এমনকি এই সংকটকালীন সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে যেসব সাহায্যে সহযোগিতা দেওয়া হয় সেই তালিকায়ও বাদের খাতায় থেকে যায় মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর নাম।

ফলে চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোকে দিনানিপাত করতে হচ্ছে।এরই মধ্য শুরু হয়ে গেছে পবিত্র মাহে মরজান। আর এই রমজানকে কেন্দ্রকরে বাজারে প্রতিটি নিত্যপন্যের দাম যেন আকাশ ছোয়া।

কাজেই একদিকে যেমন সকল প্রকার সাহায্যে সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো আবার বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম অনেকটা ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে থাকায় প্রয়োজনমাপিক নিত্যপন্যও কিনতে পারছে না এসব পরিবার গুলো।ফলে চলমান এই সময়টি যেন মধ্যবিত্তদের জন্য বড়ই চ্যলেঞ্জিং।

এদিকে সরকারি ভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যেসব খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয় সেসব খাদ্য বন্টনের ক্ষেত্রে দলীয় লোকদেরকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। ফলে দলের কারনে অনেক বিত্তবানরাও এসব খাদ্য সহযোগীতা পেয়ে থাকেন।যারফলে অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হন যারা মূলত এসব খাদ্য সহযোগীতা পাওয়ার কথা সেসব পরিবার গুলো।

আবার প্রতিটি এলাকায় বিত্তবানরা যেসব খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকেন সেখানেও দেখাযায় সমাজের সাধারণ ও অসহায় পরিবার গুলোকেই খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।ফলে এই তালিকায় ও অনেকটা বাদের খাতায় থাকতে হয় মধ্যবিত্তদের।

মোট কথা মধ্যবিত্তদের জন্য যেন চলমান এই সময়টি সবচেয়ে কষ্টকর ও বেদনাদায়ক অনেকটা আবার অসহায়দের মতোও বটে।

এদিকে চলমান এই সংকটে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করীদের মধ্যে কোন সমন্বয় না থাকায় অরেকটি বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে তা হলো এভাবে সমন্বয়হীন ভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ফলে দেখাযাচ্ছে কোন কোন পরিবার একাদিকবার যেমন সরকারি ও বেসরকারি ভাবে খাদ্য সহায়তা পায় আবার কোন পরিবার দেখাযাচ্ছে একবারও সহযোগিতা পাচ্ছেনা।কাজেই একটি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব খাদ্য সহায়তা দেওয়া অতিব জরুরী।

যাইহোক দেশের এই সংকটে সমাজের দুঃস্থ ও অসহায়দের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের দিকে দায়িত্বশীল সকলের নজর দেওয়া অতিব প্রয়োজন বলে মনেকরেন সচেতন মহল।