ফ্রিজে মিলল ১০ বছরের পুরনো মরদেহ

নিউজ ডেস্ক :

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরীর ম্যানহাটনে বাস করতেন এক নারী। কয়েক দিন আগে মারা গেছেন তিনি। সম্প্রতি হ্যামিলটন হাউটসের তার অ্যাপার্টমেন্টটি খালি করার জন্য অন্য শহর থেকে এসেছিলেন তার ছেলে। বাসা খালি করতে গিয়ে ঘটে গেল অবিশ্বাস্য ঘটনা।

মা’য়ের রেখে যাওয়া অ্যাপার্টমেন্ট খালি করতে গিয়ে ফ্রিজের মধ্য থেকে উত্থার হয়েছে ১০ বছর আগের লাশ। লাশটি ডাকটেপ দিয়ে শক্ত করে বেঁধে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল।

ঘটনায় হতবাক হয়ে যান তিন। তৎক্ষণাৎ পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল শনিবার (০২ মে) এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ফ্রিজারবন্দী মৃতদেহটি অন্তত ১০ বছরের পুরোনো বলে পুলিশের ধারণা। অনেক বছর হওয়ায় মৃতদেহটি পুরুষ না নারীর, তাও নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত করছে।

মহাকাশের চারটি অবিশ্বাস্য ঘটনা!
ল থেকে মহাকাশ মানুষের মাঝে একের পর এক চমক নিয়ে হাজির হয়েছে। বিশাল এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে কতটুকুই-বা আমরা জানি। সুদূর মহাকাশের অতলস্পর্শী রহস্যের যতটুকু জানা গেছে তার মধ্যেই রয়েছে এমন সব তথ্য ও জ্ঞান যেগুলো বিশ্বাস করা একটু কঠিনই বটে! তবে হ্যাঁ, ব্যপারগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত, তাই সেগুলোকে অস্বীকার করারও উপায় নেই! চলুন জেনে নেয়া যাক মহাকাশের বুকে ঘটতে থাকা সেই অত্যাশ্চর্য ঘটনাগুলো সম্পর্কে।

1.মহাকাশের চারটি অবিশ্বাস্য ঘটনা!

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলতে থাকা বৃহস্পতির ঝড়!

সৌরজগতের গ্রহ গুলোর মধ্যে বৃহস্পতি অন্যতম ঝড়ো হাওয়া পূর্ণ গ্রহ। এই গ্রহটির বৃহদাকার ‘রেড স্পট’ অঞ্চলে গত কয়েক শতাব্দি যাবত অবিরত বয়ে যাচ্ছে এতসব ভয়ানক ঝড় যা পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক হারিকেনকেও হার মানাবে! ১৯৭৯ সালে ভয়েজার ১ মহাকাশযানটি সর্বপ্রথম বৃহস্পতির অনবদ্য ঝড়ের ঘটনার ছবি তুলে বিজ্ঞানীদের পাঠায়। যদিও বৃহস্পতির এ ঝড় ভালো মানের টেলিস্কোপের সাহায্যে পৃথিবী থেকেই অবলোকন করা যেতে পারে। এ পর্যন্ত জানা মতে ১৬৬৫ সালে জিওভানি ডমেনিকো ক্যাসিনি সর্বপ্রথম বৃহস্পতির তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা আবিষ্কার করেন। তবে যাই হোক, বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ থেকে পাওয়া গিয়েছে এই ঝড়ের বেগ সময়ের সাথে সাথে কমছে, ধারণা করা হচ্ছে এভাবে একসময় কয়েক শতাব্দি ধরে চলমান বৃহস্পতির এই টর্নেডোর পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে।

 

2.মহাকাশের চারটি অবিশ্বাস্য ঘটনা!

মহাবিশ্বের সবচেয়ে বেশি পানির মজুদ কোথায় জানেন কি?

মহাবিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে দূরবর্তী পানির মজুদ আবিষ্কার করা হয় ২০১১ সালে। ধারণা করা হচ্ছে, পৃথিবীতে যত পানি রয়েছে তার তুলনায় ১৪০ ট্রিলিয়ন গুণ বেশি পানি আছে সেখানে! এই বিশাল জলাশয় একটি কোয়াসারকে সম্পূর্ণ ঢেকে রেখেছে । কোয়াসারটি ধারণ করছে দৈত্যাকৃতির একটি ব্ল্যাক হোল, যেটি আমাদের সূর্যের তুলনায় ২০ বিলিয়ন গুন বড় এবং পৃথিবী থেকে ১২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। ব্ল্যাক হোলটির নাম দেয়া হয়েছে এপিএম ০৮২৭৯+৫২৫৫। ব্ল্যাক হোলটির সহায়তা নিয়ে পানি দ্বারা আবৃত সেই কোয়াসারটি যে পরিমান শক্তি উৎপন্ন করে তা আমাদের সূর্যের দ্বারা উৎপন্ন শক্তির ১০০০ ট্রিলিয়ন গুণ বেশি!

 

3.মহাকাশের চারটি অবিশ্বাস্য ঘটনা!

বিশালাকার ব্ল্যাক হোল!

এখন পর্যন্ত হদিস পাওয়া মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক হোলটি আবিষ্কার করা হয় ২০১৫ সালে। যেটি রয়েছে জে০১০০+২৮০২ নামক এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল কোয়াসারের ভেতরে। বিজ্ঞানীরা কোয়াসারটি নিয়ে যতই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন ততই তাদের মাথা ঘুরে যাচ্ছে। একে তো সেটি সূর্যের তুলনায় ১২ বিলিয়ন গুণ বড়, তার ওপর তার ঔজ্জ্বল্য ৪২০ ট্রিলিয়ন সূর্যের সমপরিমাণ! এর আগের আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় কোয়াসারটির তুলনায় এটি প্রায় ৭ গুণ বেশি উজ্জ্বল। বিগ ব্যাং-এর মাত্র ৯০০ মিলিয়ন বছর পরে এই ব্ল্যাক হোলটি তৈরি হয়েছে। ব্ল্যাক হোলটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১২ দশমিক ৮ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এটি আবিষ্কারকারী বিজ্ঞানীদের একজন শিয়াওহুই ফ্যান এটি সম্পর্কে বলেন, ‘বিগ ব্যাং এর মাত্র ৯০ কোটি বছর পরে অর্থাৎ সৃষ্টির মোটামুটি সূচনালগ্নে উৎপন্ন হওয়া একটি কোয়াসার কিভাবে এতোটা উজ্জ্বল ও তার ব্ল্যাক হোল কিভাবে এত বড় হতে পারে? যখন কিনা মহাবিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে আদিম তারকারাজি ও ছায়াপথগুলোর জন্ম হয়েছে মাত্র!

 

4.মহাকাশের চারটি অবিশ্বাস্য ঘটনা!

হীরকের গ্রহ!

৫৫ ক্যানক্রি ই, ২০০৪ সালে আবিষ্কৃত আমাদের ছায়াপথের একটি গ্রহ। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে গ্রহটির এক-তৃতীয়াংশই সম্পূর্ণ হীরার তৈরি! গ্রহটি সুপার আর্থ নামে পরিচিত, কারণ এর ব্যাসার্ধ পৃথিবীর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ, আর ভর পৃথিবীর প্রায় ৮ গুণ! হীরকের তৈরি এ গ্রহটি ৫৫ ক্যানক্রি নক্ষত্রটিকে পরিক্রমণ করছে যা আমাদের পৃথিবী থেকে চল্লিশ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্রহটি তার নক্ষত্রকে একবার পরিক্রমণ করতে সময় নেয় মাত্র ১৮ দিন!

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

৩১ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ১৫ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি, শনিবার