ফরিদগঞ্জে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে কাঠাল কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১০ জনের উপরে যখম হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি গত ৩১ মে রবিবার সকালে উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নে ঘটে।

যখমপ্রাপ্তরা হলেন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রাম ঠাকুর বাড়ীর জয়নাল আবেদীন (৪৫), তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০), ছেলে রুবেল হোসেন (৩১), রাশেদ (২৭), তার মেজো ভাই ঈব্রাহীম (৬১), বড় ভাইয়ের ছেলে মোবারক হোসেন (২৬)সহ ১০ জন। এদের শরীলে ব্যাপক রক্তাক্ত যখম হলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এ সময় ঘরের বেড়ার টিন কুপিয়ে আলাদা করে লুটতরাজ চালায় এবং ঘরের আসবাসপত্র, নগদ টাকা, গলার হার, স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় প্রতিপক্ষের লোকজন।

জানা যায়, একই বাড়ির প্রতিপক্ষ লোকমান হোসেন (৫০) এর স্ত্রী’ বিলকিছ বেগম (৪২), তাদের ছেলে আরিফ হোসেন (৩০), শরিফ (২৭), তরিক (২৫), মোবারক ২২), বাড়ীর খালেকের ছেলে সুমন ও রাজনসহ ১৫/১৬ জন মিলে এ সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঠাকুরবাড়ির সামনে জয়নাল আবেদীনের একলা বসতঘরে পাশে তার মামাতো ভাই খাজে আহমেদ প্রায় বছর খানেক পূর্বে ৩ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে।

সেই জমিনে একটা কাঠাল গাছ ছিল যা থেকে একটা কাঠাল জয়নাল কেটে ঘরে রাখে। বাড়ীর প্রতিপক্ষ লোকমান ও তার ছেলেরা কাঠালের ভাগ চেয়ে এক প্রকার কথা বাটাকাটি থেকে হামলায় রূপ নেয়। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে দা, ছেনি, ছুরি, লাটিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন একলা বাড়িতে হামলা চালায়।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান আ. গণি পাটওয়ারি বাবুল, স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা খোকন আখন্দ,বাহার পাটওয়ারী, খোরশেদসহ আস্টা বাজার ব্যবসায়ীর নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে এসে প্রতিপক্ষের হাত থেকে আহতদেরকে রক্ষা করে হাসপাতালে পাঠায়।

আহত জয়নালের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, আমরা কাঠাল নষ্ট হয়ে যায় দেখে কেটে ঘরে রেখেছি। যার কাঠালগাছ তারা কিছু না বলে লোকমানের স্ত্রী বিলকিছ ও তার ছেলেরা এসে ভাগ চায়। আমরা কথার জবাব দিতে গেলে হঠাৎ করে লোকমান ও তার ছেলেরাসহ ১৫/১৬ জন মিলে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত যখম করে।

এ সময় ঘরের বেড়াসহ আসবাসপত্র ভেঙ্গে তচনছ করে ঘরে থাকা নগদ টাকা ও আমার গলার হারসহ স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

এদিকে প্রতিপক্ষের ঘরে গেলে পুরুষ না থাকায় মহিলারা বলেন, আমরা কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না।

এ বিষয়ে ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. গণি পাটোয়ারি বাবুল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি।

আহতদের উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেছি। আমার কাছে কেউই লিখিত অভিযোগ করেনি, তবে শুনেছি থানায় উভয়পক্ষ মামলা দায়ের করেছে।