শেরপুরে নকলায় স্বাস্থ্যববিধি না মানলে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিলেন উপজেলা প্রশাসন

শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

করোনার শুরুতে শেরপুরের নকলা উপজেলা প্রশাসন সাধারণ মানুষের সাথে সহনীয়তা বজায় রেখে সচেতন করে আসছে। করোনা ভাইরাসকে রুখতে দিনরাত কাজ করছেন তারা। সকল শ্রেনি পেশাজীবিদের সাথে দফায় দফায় করেছেন মত বিনিময়। কিছু ফলপ্রসু হলেও নকলা উপজেলার চিত্র বর্তমানে প্রায় আগের মতই লক্ষ্য করা। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই মাঝে মাঝে দেখা যায় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সাথে সাধারণ মানুষদের চোর পুলিশ খেলতে।

নকলা উপজেলার করোনা আক্রান্তের জোনিংয়ে দেখা যায়, এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫শ৭০ জনের, এ পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ৫শ৬৬ জনের, মোট করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে ৪১ জনের শরিরে, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২১জন এবং মৃত্যু বরন করেছেন ১জন মহিলা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ১৯ জন, হোম আইসোলেশনে আছেন ১৮ জন, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন ১ জন।দিনদিন নকলায় করোনার অবস্থা অবনতির দিকে যাওয়ায় এবং করোনার ঝুকি কমাতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে আরো কঠোর হওয়ার ঘোষনা দিলেন নকলা উপজেলা প্রশাসন।

আজ (১৭জুন) বুধবার সকালে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আলোচনা সভায় তিনি এ এই ঘোষণা দেন।

এ সময় নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা তারিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ মজিবুর রহমান, নকলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আলমগীর হোসেন শাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মকবুল হোসেন, নকলা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেল, ব্যবসায়ী, নকলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম লাভলুসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।উপস্থিত সবাই নকলা উপজেলা সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং এই পরিস্থিতিতে সব দিক থেকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে সবাই সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, নকলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকা ভিত্তিক কঠোর লকডাউন ঘোষণা সহ আরো কঠোর কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি। নকলা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের মাইকের মাধ্যমে প্রচার করে বিকেল ৪টার পরে যাতে কোন দোকান খোলা না রাখে সেই ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। এর পরেও যদি কেউ কথা না শুনে বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও মাস্ক ব্যবহার না করে চলাফেরা করে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। খোলা থাকবে শুধু মাত্র ঔষধ দোকান। আমার একার পক্ষে এর মোকাবিলা করা সম্ভব না। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা নকলাকে করোনা মুক্ত উপজেলা ঘোষনা দিতে পারব।