চাঁদপুর পৌর ঈদগাঁহে চায়ের দোকান বসিয়ে ভাড়া আদায় : করোনাকালে আড্ডাবাজি

 

কবির হোসেন মিজি :

চাঁদপুরের প্রধানতম পৌর ঈদ গাঁহে চায়ের দোকান বসিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের অগোচরেই দীর্ঘদিন ধরে মাসিক ভাড়া আদায় করছেন বাবুল নামের ৪র্থ শ্রেণির এক পৌর কর্মচারী। একটি প্রধানতম ঈদ গাঁ মাঠে চায়ের দোকান বসানোর কারনে এই করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত সেখানে হচ্ছে লুডু খেলা সহ নানা ধরনের আড্ডাবাজি। যেখানে প্রতি বছর মুসলমানরা পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে থাকে। সে মাঠের প্রধান ফটকেই রয়েছে একটি চায়ের দোকান। এর পাশাপাশি মাঠটি রয়েছে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান এবং এ্যাম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন পার্কিংয়ের দখলে ।

চাঁদপুরের প্রধান ঈদগাহ হিসেবে পৌরসভার এ ঈদগাহ মাঠেই প্রতিবছর পবিত্র ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা। অথচ কিছু সুবিদাভোগীদের দখলে সে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহটি যেনো অরক্ষিত হয়ে পড়ে আছে। তা দেখার যেনো কেউ নেই। চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এটি রক্ষানাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকলেও একজন মাষ্টার রোলের কর্মচারীর কারনে তা যেনো রক্ষক হয়ে বক্ষকের সামিল হচ্ছে।

চাঁদপুর শহরের কবি নজরুল সড়কস্থ (সাবেক স্ট্যান্টরোড) পুরাণবাজার নতুন বাজার ব্রীজের নিকটে অবস্থিত পৌর ঈদগাহ মাঠটিতে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, মাঠের চর্তুদিকে মাঠ জুড়ে পিকআপ ভ্যান, ঠেলাভ্যান, রিক্সাসহ বিভিন্ন ছোট- বড় যানবাহন পাকিং করে রাখা হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি যে দৃশ্যটি সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলে তা হচ্ছে, ঈদ গাঁহের পূর্ব দিকের গেটের প্রবেশ মুখেই দীর্ঘদিন ধরে একটি চায়ের দোকান লক্ষ্য করা গেছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে চাঁদপুর পেীরসভায় মাষ্টার রোলে কর্মরত মোঃ বাবুল নামে এক কর্মচারী ঈদ গাঁহের ওইস্থানে একটি টিনের চায়ের দোকান বসান। আর সে দোকানটি তিনি নিজে না চালিয়ে ১২,শ টাকা মাসিক ভাড়া আদায় করে নেন। স্থানীয়দের অনেকের কাছে জানাযায়, ঈদ গাঁহের এইস্থানে চায়ের দোকানটি এখানে থাকার কারনে অনেক যুবক ও কিশোর ছেলেরা সেখানে প্রতিদিনের বিভিন্ন সময়ে আড্ডা দেন। আবার অনেক চালক ও যুবকরা মিলে ওই দোকানটির পেছনে লুডু খেলায়ও মেতে উঠেন। বিশেষ করে এই মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে জন সমাগম এরিয়ে চলার নির্দেশনা থাকলেও সেখানে তারা চায়ে খাওয়ার সুবাদে প্রতিনিয়ত এইসব আড্ডাবাজি করে চলেছেন।

এজন্য চাঁদপুরের এই প্রধানতম ঈদ গাঁ টির পবিত্রতা রক্ষা করতে এবং করোনাকালে যুবক ও কিশোরদের আড্ডাবাজি রোদ করতে খুব জরুরী ভিত্তিতে দোকানটি সেখান থেকে সম্প্রসারণ করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি এবং জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।

এ বিষয়ে উল্লেখিত বাবুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি অসুস্থ থাকার কারনে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।