কণ্ঠশিল্পী আশিকের ফেইসবুক পোস্ট : অনাহারে থাকা পরিবারের পাশে রিংগন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :

গত কিছুদিন পূর্বে হবিগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে সিনামা হল বাজার সংলগ্ন চৌদ্দ সদস্যের একটি পরিবার করোনা সন্দের পুরো বাড়িটি লক ডাউন অবস্থায় ছিল। ফলে কর্মহীন হয়ে পরে বাড়ির কর্তাব্যক্তিরা। এই অবস্থায় পুরো পরিবারের খাদ্য সংকটে পড়তে হয়। প্রায় ২/৩ দিন অর্ধ অনাহারে থাকতে হয়। পরে প্রথমে নজরে আসে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইয়াসিন আহমেদ এর।

পরে তিনি বিষয়টি সকলের নজরে আসার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করেন। এর পর পর ক্লোজআপ সেরা কন্ঠ শিল্পী আসিক বিষয়টি সমাজের সকলের নজরে আসার জন্য তিনিও নিজ আইডি থেকে পোষ্ট করেন।

পোষ্টের সুত্র ধরে যোগাযোগ করেন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শায়েস্তানগর হাই-টাওয়ার মার্কেটের স্বত্বাধিকারী শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন। তিনি প্রায় এক মাসের বাজার করে শিল্পী আশিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইয়াসিন আলি ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক গোলাম মাহবুবকে সাথে নিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়ে আসেন। এর পর পরই কন্ঠ শিল্পী আশিক নিজের আইডি ও পেইজ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পোষ্ট করেন যা হুবুহু তুলে ধরা হলো,

মানবতা আছে বলেই আজো মানবজাতি টিকে আছে।
কয়েক দিন আগের একটা অসহায় পরিবারের ছবি পোস্ট করেছিলাম আমার ফেইসবুকে।
আজ সেই পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে হবিগঞ্জ সায়েস্তানগর এলাকার হাই টাওয়ারের সত্বাধিকারী শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন।
প্রায় এক মাসের বাজার কিনে দিয়ে এসেছে সেই অসহায় পরিবারের কাছে।
এবং যে বেরিকেড ছিলো দরজার সামনে,সেটিও তুলে নেয়া হয়েছে।
এই উপহার পেয়ে অসহায় লোকটি যে কি পরিমান খুশি হয়েছে তা আপনাদের বলে বুঝাতে পারবোনা।
আল্লাহ রিংগন কে বাচিয়ে রাখুন।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইয়াছিন ভাই, যিনি প্রথম এই ব্যাপারে পোস্ট দিয়েছিলেন।
আল্লাহ সবার মংগল করুন।আমিন।


এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিজের মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের করোনা কালীন সময়ের নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে মানুষের কল্যানের কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ এই ধারণা বাহিকতা অব্যহত থাকবে। তবে আমরা আশা করব রাষ্ট্র যেহেতু রেড জোন ও লক ডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেহেতু রেড জোন ও করোনা আক্রান্ত বাড়ি গুলো দিকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলো আরও মানবিক আচারন করা প্রয়োজন।।