মো. মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) করেসপন্ডেন্ট :
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে প্রতিদিন ০৫-০৬ঘন্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছেই। দিনে রাতে কতবার বিদ্যুৎ আসে আর যায় তার হিসাব রাখা কঠিন। অসহনীয় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সংশ্লিস্ট এলাকার গ্রাহক। আকাশে মেঘ উঠেছে, ফলে থাকবে না বিদ্যুৎ, আকাশে প্রখর রোদ ফলে থাকবে না বিদ্যুৎ, ঝড়ো হওয়া হলে তো আর বিদ্যুতের দেখাই মিলবে না।
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ১ লাখ ১০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। ০৮ টি ফিডারে বিভক্ত করে বিদ্যুৎ সঞ্চালন সরবরাহ হচ্ছে। বিদ্যুতের চাহিদা ২৩/২৪ মেগাওয়াট। প্রাপ্তি ২৩/২৪ মেঘাওয়াট হওয়া সত্তে¡ও বিদ্যুৎ লাইন ক্যাপাসিটির অভাবের অজুহাতে সঠিকভাবে সঞ্চালন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে গ্রাহকের ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না। সকল পেশা ও শ্রেণীর মানুষের লোডশেডিং এ ত্রাহি দশা। এ অবস্থার নিস্তারের দাবি গ্রাহকদের।
উপজেলার ৪০/৪২টি বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রিয় সময়কে জানান, বিদ্যুতের অসহনীয় ভোগান্তিতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। সঠিকভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারছি না।
পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত অনেকেই প্রিয় সময়কে জানান, আমাদের ফার্মগুলোতে তীব্র গরমে মুরগিগুলো মরার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া সেলসের জন্য রাখা দোকানগুলোতে মুরগী মরে যাচ্ছে গরমে।
উপজেলার অঞ্চল ভেদে লোডশেডিং কমবেশি হচ্ছে। তবে ৪ নং ও ৫নং ফিডারে সব চেয়ে বেশি লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ।
বিদ্যুত অফিসে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে না। উপচেপড়া ভিড় সৃষ্টি করে বিদ্যুত বিল প্রদান ও অন্যান্য কাজ চলছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনায় ত্রæটি থাকার অভিযোগ উঠেছে। সঠিকভাবে বিদ্যুতের মিটার রিডিং নেওয়া ও গ্রাহক পর্যায় বিল কপি পৌঁছানো না হওয়ায় হয়রানির শিকার হচ্ছে। অপরদিকে ব্যাংকগুলো প্রায়ই বিল না নিয়ে গ্রাহকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। আজ নয় কাল নেবো বলে। এ বিষয়ে বিদ্যুত অফিস কোনও বিহীত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত অফিসের এজিএম মোঃ কামরুল হাসান প্রিয় সময়কে জানান, গ্রাহক সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার । বিদ্যুতের চাহিদা ও প্রাপ্তিতে কোন সমস্যা নেই। তাছাড়া অত্র উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। লোডশেডিং নেই বলছেন তবে সমস্যা কোথায় উত্তরে বলেন, সব‘কটি ফিডার আপডেট করা হচ্ছে, তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টি ও লাইন মেরামতজনিত কারণেই সমস্যা হয়। তিনি একে লোড শেডিং মানতে নারাজ।
রূপসা ও গৃদকালিন্দিয়া সাব-স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হলে আর কোনও সমস্যা হবে না। তবে লাইন ক্যাপাসিটির অভাবে চাহিদানুপাতে বিদ্যুৎ নিতে পারছি না। তাই কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
ফিডারগুলোর কাজ আপডেট হলে আশা করি নিরব্বচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। অতিরিক্ত বিল করার বিষয়ে জানান, গ্রাহকরা অনেকেই বিষয়টি বুঝেনা। সম্প্রতি বিদ্যুতের বাড়তি রেট নির্ধারিত হওয়ায় ও গরমের কারণে বিদ্যুত ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে বিল বেশি হচ্ছে।