চাঁদপুরে ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবি যথার্থ

 

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ০৫ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২৯ জ্বিলহজ্ব ১৪৪১ হিজরি, বৃহস্পতিবার

সম্পাদকীয় …

মেঘনা নদী চাঁদপুর শহরকে অনেক আগে থেকেই হুমকি দিয়ে এসেছে। একটু একটু করে মানচিত্র থেকে চাঁদপুরকে বিলীন করছে ও ভাঙনের হুমকি প্রতি বছরই দিয়ে চলেছে। যদি এক্ষুণি দৃষ্টি দেয়া না হয়, তাহলে হয়তো হঠাৎই শোনা যাবে মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে রূপসী চাঁদপুর শহর! আমরা এমনটা মোটেও প্রত্যাশা করি না। তাই স্থায়ী বাঁধের দাবি যথার্থ!

প্রিয় সময়ে প্রকাশিত ‘চাঁদপুরে ভাঙনরোধে অবিরাম কাজ, স্থায়ী বাঁধের দাবি’ শিরোনামে সংবাদটিতে আমরা জানতে পেরেছি শহররক্ষা বাঁধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, যদি চাঁদপুরবাসীর এই দাবি পূরণ করা না হয় তাহলে হয়তো দুঃখজনক ঘটনা ঘটতে বেশি সময় লাগবে না। কারণ, চাঁদপুর পুরান বাজার এলাকার শহররক্ষা বাঁধে প্রতি বছরই কোন না কোন অংশে মেঘনার ভাঙন আমরা দেখে চলেছি। এ কারণে অনেক বসতভিটে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। কেউ কেউ ভাঙন বুঝতে পেরে ঐ স্থান ত্যাগ করেছে, অথবা ভাঙনের কাছাকাছি যারা চলে এসেছে তারাও চলে যাওয়ার চিন্তা করেছে।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ নিয়ে সেখানে বসবাস করছে। কারণ, তারা পূর্বপুরুষের ভিটেবাড়ি হারিয়েছে। কারো কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীতে তলিয়ে গেছে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে ভাঙন কবলিত স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা অব্যাহত রয়েছে। তবে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, হয়তো এভাবেও শেষ রক্ষা হবে না!

প্রতিটি বছর ভাঙন ঠেকাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করে যদি স্থায়ী সমাধান করা যায় তাহলে তারা অনেক সুরক্ষিত থাকবে। সেই সাথে রক্ষা পাবে তাদের পূর্বপুরুষদের র্ভিটেবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া সেই সাথে রক্ষা পাবে ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুরের পুরাণবাজার তথা চাঁদপুর শহর। আমরা স্থায়ী সমাধানের জন্যে স্থায়ী বাঁধের নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আমরা প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জেনেছি আশার কথা যে, স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের জন্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে; আর তা পাস হলেই পরিকল্পিত ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব হবে। আমরা মনে করি, চাঁদপুরবাসীর এ দাবি যথার্থ। অন্যথায় যেভাবে মেঘনার ভাঙন হচ্ছে, এতে চাঁদপুর শহরকে রক্ষা করা যাবে না। সুতরাং ত্বরিৎ গতিতে স্থায়ী ব্যবস্থা করা হোক-আমরা এই প্রত্যাশা করছি।