মাস্ক ব্যবহারের নিয়ম না মানলে …

প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ০৬ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০১ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, শুক্রবার

সম্পাদকীয় …

বার বার মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে যেন করোনা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্যে বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আমরা কেউ কেউ সেই সরকার ঘোষিত নিয়ম মানতে নারাজ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমরা করোনাকে তোয়াক্কা করছি না। আবার ভয়ও পাচ্ছি বেশ। কিন্তু নিয়ম মানার ক্ষেত্রে অবাধ্যতা প্রকাশ্যে দেখিয়ে চলেছি। সুতরাং নিয়ম না মানলে জোর তো করতেই হবে। এজন্যে জরিমানা করাটা মোটেও অশোভনীয় নয়। বরং প্রশংসার যোগ্য কাজই করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অবশ্যই আমাদের হুঁশ হবে।

প্রিয় সময়ে প্রকাশিত ‘দোহারে মাস্ক না পরায় জরিমানা’ শিরোনামে সংবাদটি পাঠক মহলে প্রশংসা পেয়েছে। তবে এ ধরনের জরিমানা সারাদেশেই যদি করা হয় তাহলে সকলেরই উপকার হবে। সেই সাথে আমাদের মাস্ক ব্যবহার অভ্যাসে পরিণত হবে। আর আমরা জরিমানা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে।

দেশে করোনা ঝুঁকি ঊর্ধ্বমুখী! এ অবস্থায়ও আমরা মাস্ক ব্যবহার করছি না। করোনা ভাইরাস মহামারি সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সব জায়গায় মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে সরকার বিশেষ নির্দেশনা জারি করলেও বেশিরভাগ মানুষ তা মানছেই না। উপরন্তু দিন যতোই এগিয়ে যাচ্ছে ততোই যেন মাস্ক ব্যবহার কমতে শুরু করেছে। রাস্তায় ও বাজারে বের হলেই বোঝা যায়, মানুষের মধ্য থেকে ভয় উবে গেছে।

আমরা প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জেনেছি যে, ‘এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সরকার এবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে।’ আমরাও চাই সারাদেশেই উদ্যোগ কার্যকরী হোক। তাহলে দেশের মানুষ সুস্থ থাকবে ও নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে।

আমরা জেনেছি যে, গত ১৭ আগস্ট (সোমবার) দুপুরে জয়পাড়া বাজারের কিছু অংশে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয়। আর এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে নিশ্চয়ই অন্যরা হুড়োহুড়ি করে মাস্ক বের করে ব্যবহার করা শুরু করেছে। জরিমানার খবর ছড়ানোর সাথে সাথে মানুষের হুঁশ ফিরেছে নিশ্চয়। অবশ্য সারাদেশেই যদি একযোগে মোবাইল কোট পরিচালনা করা যায় তাহলে সাধারণ মানুষ অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য হবে। অবশ্য মানাতে বাধ্য করতে হবে জনগণকে। তা না হলে যে, বিশাল ক্ষতির মধ্যে আমরা পড়তে পারি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সুশীল সমাজ অবশ্যই এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত; সেই সাথে প্রশাসনও। আর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে সর্বস্তরের মানুষের দারুণ উপকার হবে বলে আমরা মনে করছি।

আমরা ভ্রাম্যমান আদালতকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে যদি স্বাস্থ্যবিধির মানার সুদিন চালু হয় তাহলে আমরা অবশ্যই প্রতিটি মানুষ জীবন ফিরে পাবো।

তবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার পাশাপাশি যদি সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ধনসম্পদের ধনী ব্যক্তিরাও যদি গরীব মানুষের জন্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের ব্যবস্থা করে তাহলে বিষয়টি আরো ভালোর দিকে যাবে বলে আমরা মনে করছি। আর সেই সাথে অবাধ্য ব্যক্তিদের শুধুমাত্র ১৮ জনই নয়, আরো বেশি মানুষের জরিমানা করা উচিত। তাহলে দ্রুতগতিতে মাস্ক ব্যবহারের পরিবেশ সৃষ্টি হবে সর্বত্র।