ময়মনসিংহে রেললাইনে পাথরের বদলে ইটের খোয়া

রেল সেতুতে লোহার পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহারের পর এবার রেল লাইনে পাথরের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ইটের খোয়া। ময়মনসিংহে রেল লাইনে পাথরের বদলে ইটের খোয়া ব্যাবহার করা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ রেলস্টেশন থেকে কেওয়াটখালী লোকশেড পর্যন্ত দুই কিলোমিটার লাইনে পাথরের বদলে ইটের খোয়া দেয়া হয়েছে। পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়ার ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানিয়েছেন, লাইনটির স্লিপার কাঠের দীর্ঘদিন তা পরিবর্তন না করার কারণে বেশীরভাগই পচে গেছে। ফলে লাইনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কিন্ত এই লাইন দিয়েই পার হচ্ছে ট্রেন, ফলে যে কোন দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে পাথরের যোগান না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে ইটের খোয়া আর বালু দিয়ে কাজ লাইনটিকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে কোন অনিয়ম হয়নি, কেননা দরপত্রই হয়েছে ইটের খোয়া কেনার।

এ বিষয়ে বিভাগীয় রেলওয়ের প্রকৌশলী-(১) মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ময়মনসিংহ স্টেশন থেকে কেওয়াটখালী পর্যন্ত লাইনটি বর্ষার পানি জমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া স্লিপারের নীচের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে লাইনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়, কিন্তু সেই লাইন দিয়েই পার হচ্ছে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি ট্রেন যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে তাই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, বর্তমানে ময়মনসিংহ জোনের জন্য রেলের কোন পাথর বরাদ্দ নেই। চাহিদা-পত্র দিয়েও পাথর পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বাধ্য হয়ে লাইন ঠিক রাখতে রেল লাইনে পাথরের বদলে ইটের খোয়া দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এটা সাময়িক উদ্যোগ দ্রুত পাথর দেয়া হবে সেই লাইনে। সব মিলিয়ে এই খোয়া কিনতে রেলওয়ের খরচ হচ্ছে ১০/১৫ লাখ টাকা।

লাইনে পাথরের পরিবর্তে ইট দেয়ার ব্যাপারে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক সরদার শাহাদাত হোসেন প্রিয় সময়কে জানান, পাথরের বদলে ইটের ব্যবহার রেলের জন্য হুমকি। পাথরের সহ্য ক্ষমতা আর ইটের সহ্য ক্ষমতা এক নয়। এটা হওয়ার কথা না, যদি হয়ে থাকে তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাথর বরাদ্দের স্বল্পতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, লাকসাম থেকে আখাউড়া রুটে ডাবল লাইন নির্মাণের যে কাজ হচ্ছে সেখান থেকে কিছু পাথর নেয়ার কথা আছে। এগুলো পেলে আর সমস্যা থাকবে না।

তিনি বলেন, পাথর স্বল্পতার কারনে হয়তো স্থানীয়ভাবে লাইন সচল রাখার জন্য পাথরের বদলে ইট দেয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে ঘটনা যায় হোক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।