সমাজ থেকে ইয়াবা নামক ঘাতক চিরতরে দূর হোক

 

প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ১০ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৫ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, মঙ্গলবার

সম্পাদকীয়…

এভাবেই কি আমাদের সমাজের ও সমাজের মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে? নেশাদ্রব্য আমাদের যুব সমাজকে তিলে তিলে নষ্ট করে দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুব সমাজের পাশাপাশি নেশাগ্রহণকারী বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ জন। সহিংসতায় ভুগছে নেশাগ্রহণকারী পরিবারগুলো। কোনোভাবেই এই নেশার হাত থেকে পরিবারগুলোকে বাঁচানো যাচ্ছে না। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের দেশে নেশাদ্রব্য তৈরি হচ্ছে ও খুব দ্রæত গতিতে মানুষকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে।

প্রিয় সময়ে প্রকাশিত ‘কুমিল্লায় ৬০ লাখ টাকার ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার’ শিরোনামে সংবাদটি আমাদের হতবাক করে দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এতো কড়া নিরাপত্তা ও সতর্কতা থাকা সত্তে¡ও কীভাবে মানুষের হাতে ইয়াবা পৌঁছে যায় তার একটি জ¦লন্ত দৃষ্টান্ত এটি। খুবই বিস্মিত ও হতবাক করার মতো একটি ঘটনা। প্রশাসন এতো কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকলেও ব্যবসায়ীরা কোথা থেকে এতো সাহস অর্জন করে? কোথায় কোথায় দুর্বলতা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে আমরা মনে করি।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জেনেছি যে, কুমিল্লায় তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আমরা মনে করি, ঐ তিনজনকে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসবে। তাদের মাধ্যমে আসল ব্যক্তিদেরও ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করছি। এসব ইয়াবা কোথা থেকে আসে, কোন পথে ঢুকে, কারা এসবের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সেসব বিষয় প্রশাসন খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন-যদি তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবং সে অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

আমাদের মনে করা রাখতে হবে যে, ইয়াবা আসক্ত ব্যক্তিরা খুব অল্পতে তারা তাদের জীবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। একবার ইয়াবা আসক্ত হলে সেই পথ থেকে আর ফিরে আসা সম্ভব হয় না। বার বার ইয়াবা গ্রহণ করতে ইচ্ছে করে। যদিও ক্ষণিকের সুখানুভূতি তাকে পেয়ে বসে কিন্তু এই ধ্বংসাত্মক ইয়াবা যে কতোটা মানুষের জন্যে ক্ষতিকর সেটা গ্রহণকারী তাৎক্ষণিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে না।

প্রকাশিত সংবাদে আমরা দেখেছি যে, ‘তল্লাসী চালিয়ে মাইক্রো বাসের ভেতর বিশেষ কৌশলে রাখা একটি কার্টুনে ১৫ হাজার অপর একটি শপিং ব্যাগে স্কচ টেপ মোড়ানো আরো ৫ হাজার মিলিয়ে মোট ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার সম্ভাব্য মূল্য ৬০ লাখ টাকা ইয়াবার উদ্ধারের পাশাপাশি ৩ জনকে আটক করা হয়।’ এতে এটা পরিস্কার ধারণা হয় যে, এই কৌশলেই দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ইয়াবা খুব সহজে পাচার হচ্ছে। আর ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মানুষের হাতে হাতে চলে যাচ্ছে। এদিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম বন্ধ হোক খুব শীঘ্রই। যদি প্রশাসন আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে হয়তো অবশ্যই সমাজ থেকে ইয়াবা নামক ঘাতক চিরতরে দূর হবে!-আর আমরা এটাই প্রত্যাশা করি।

 

প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ১০ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৫ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, মঙ্গলবার