নোংরা স্বভাবের পরিচয় : এটা খুবই লজ্জাজনক বিষয়!

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ১১ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৬ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, বুধবার

 

সম্পাদকীয় …

বহুবিবাহ মেনে নেয়া যায় না! পরকীয়া মেনে নেয়া যায় না! এটা লজ্জাজনক বিষয়! প্রতিবেশী ও আত্মীয়েরা লজ্জায় রাঙা হলেও যারা এসবের সাথে জড়িত তাদের লজ্জা একটও করে না। তাদের মাধ্যমে অন্যরা লজ্জিত ও মুখ দেখাতে পারে না; অথচ তারা দিব্যি নির্লজ্জের মতো ঠোঁট কাটা হয়ে ঘুরে বেড়ায় ও নোংরা স্বভাবের পরিচয় দিয়ে যায়।

প্রিয় সময়ে ‘৭০ বছর বয়সে ৯ নম্বর বিয়ের জন্য তোড়জোড়!’ শিরোনামে এমনই একটি সংবাদ আমাদের চোখে পড়েছে। এই সংবাদটি পড়ে নিশ্চয় অনেক পাঠক ছি! ছি! ছি! বলতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। আবার কেউ কেউ হতবাক হওয়ার পাশাপাশি হাসাহাসিও করেছেন হয়তো। কিন্তু এহেন কার্যক্রম অত্যন্ত ঘৃনাহ্। এ জাতীয় মানুষের জন্যে অন্যেরাও এমন নোংরা কাজ করবার সাহস সঞ্চার করে।

এ ধরনের কু-চরিত্রের মানুষের জন্যে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন না। যেমন আমরা দেখেছি প্রকাশিত সংবাদে, ্এই বয়স্ক ব্যক্তি তার ছেলের বান্ধবীকে পর্যন্ত ভাগিয়ে বিয়ে করেছে। এছাড়াও তিনি অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত বলে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ রয়েছে। তাঁর কারণে তার নাতি নাতনীদের সমাজে মুখ দেখানো খুবই কষ্টকর! অনেক লজ্জা নিয়ে তাদের চলতে হয়। এমনকি উপযুক্ত মেয়েদের জন্যে বিয়ের প্রস্তাব আসলে এই বয়স্ক ব্যক্তির কারণে মানুষ খারাপ মন্তব্য করে থাকে।

বোধকরি, ওই বয়স্ক ব্যক্তির নৈতিক শিক্ষার দারুণ অভাব রয়েছে। তা না হলে তিনি কিভাবে পর পর এভাবে বিয়ে করতেই থাকেন। উপরন্তু তার প্রথমা স্ত্রীর প্রতি তার কোনো সম্মান ও মর্যাদা নেই। অপরদিকে অন্য মানুষরাও জেনেশুনে তার কাছে মেয়ে বিয়ে দেয় কেনো সেটাও একটা বড় প্রশ্ন! কিংবা যেসমস্ত মহিলা তার সাথে পরকীয়ায় জড়িত হয় তারাও তো নিশ্চয় তার চরিত্র সম্পর্কে আগে থেকে জানা আছে। সুতরাং এতো কিছু জানার পরও কেনো সত্তর বছর বয়স্ক ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ঠ হয়? তার প্রথম স্ত্রী রহিমা বেগম বলেছেন, ‘প্রায় ৪০ বছর পূর্বে আমাকে বিয়ে করার সময়ের মধ্যে আমার মতের বিরুদ্ধে একের পর এক সাতটি বিয়ে করেন। তিনি একজন পর নারীকে ভাগিয়ে এনে অন্যের সংসার নষ্ট করে মজা পায়। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে নাতী-নাতনি রয়েছে। এ বয়োবৃদ্ধ অবস্থায় অন্যের স্ত্রীর সাথে আমার স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক কিভাবে মেনে নেই। তাঁর জন্যে সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না।’

আমরা প্রকাশিত সংবাদে দেখেছি, ‘লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারি ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ওরফে হবি (৭০) বিরুদ্ধে নবম বিয়ে করার (বহুবিবাহের) অভিযোগ করেছেন তাঁর প্রথম স্ত্রী রহিমা বেগম। তিনি গোপনে আটটি বিয়ে করেছেন। এরপরও গোপনে নবম বিয়ে করার জন্যে মরিয়া হয়ে গেলেন। আমরা প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, ‘তিনি দুঃশ্চরিত্র ও নারী লোভী বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে তাঁর প্রথম স্ত্রী রহিমা বেগম।’ সত্যিই এ জাতীয় মানুষদের চরিত্র মোটেও ভালো হতে পারে না। এদের মতো মানুষের জন্যে সমাজে অশান্তি বিরাজ করে সবসময়। আর পরিবারগুলোও সুখের মুখ কোনোদিন দেখতে পায় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এটা হলো সেই লোকটার একটা মজা নেয়া বা ব্যবসা করা।

আমরা আরো জানতে পারলাম যে, তিনি ইতিমধ্যে তিনজনকে ডিভোর্সও দিয়েছেন। এতো কিছুর পর তিনি গোপনে গোপনে এক মহিলার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আর এতে এলাকায় বেশ আলোচনা-সমালোচনায় মুখড় হয়ে উঠেছেন। সর্বত্র তার এই কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। ফলে তার পরিবারের সদস্যরা সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না। সত্যিই এটি খুবই লজ্জাজনক বিষয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই তার প্রথম স্ত্রী লিখিত অভিযোগ করেছেন পুলিশ সুপার বরাবর। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা নবম বিয়ে রুখতে পারবেন কিনা।

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, ১১ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৬ মুহররম ১৪৪২ হিজরি, বুধবার