দোহারে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধন, জাল জব্দ : ৮ জেলে আটক

মাকসুমুল মুকিম, দোহার প্রতিনিধি :

দোহারের পদ্মা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধন অব্যাহত রেখেছেন এক শ্রেণীর জেলেরা। এমনকি নদীর তীরে ও জেগে উঠা চরে ছোট ছোট মাছের হাট বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করা হচ্ছে এই সব ইলিশ।

শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দোহারের পদ্মা তীরে এইসব চিএ চোখে পড়ে।

স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় ১৪ ই অক্টোবর থেকে আগামী ৪ই নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

অপর দিকে শুক্রবার নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় দিনে দিবাগত রাত ১২ টার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল জব্দ ও আট জেলেকে আটকের পর ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

আটককৃতরা হলেন নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের কাশেম মাদবরের ছেলে শামিম মাদবর, মধুরচর গ্রামের হাসেম মৃধার ছেলে আক্কাস মৃধা, মধুর চর গ্রামের শেখ রফিক এর ছেলে আবুল কালাম শেখ, নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া, নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের রন্জন শেখ এর ছেলে রহিম শেখ, নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের নূর উদ্দীন এর ছেলে সাইফুল, মধুরচর গ্রামের রহিম শেখ এর ছেলে মালেক শেখ, নারিশা পশ্চিমচর গ্রামের ছাত্তার এর ছেলে জব্বার। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে আরো আট জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। এ বিষয়ে দোহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফর নাহারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন দোহারের পদ্মানদীতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযান চলছে।

পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২ দিনে মোট ১৭ জন জেলেকে জরিমানা ও ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।

দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ বলেন চলতি মৌসুমে ইলিশ ধরা বিক্রি পরিবহন ও মজুদের আলামত পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে দন্ডাদেশ দেওয়া হবে।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

১৭ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ০১ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২৯ সফর ১৪৪২ হিজরি, শনিবার