সংসারের শ্রমবিভাজন

কথিকা : ক্ষুদীরাম দাস
অনেক মায়ের অতি গুরু দায়িত্ব সংসারের শ্রম বহন করতে হলেও সন্তানকে উক্ত শ্রমে অংশগ্রহণে শিক্ষা দেয়া হয় না। মায়ের এই অতি কাজ করার প্রবণতা বা বাধ্য হওয়া দেখে সন্তানেরা অলস ও স্বার্থপর হতে র্শিখে। মেয়ে সন্তান মনের অবচেতনে বিয়ের পর মায়ের রোল অনুরণ করে বা ভীষণভাবে কর্মবিমুখ হয় তাদের জীবনেও সমতা বা ন্যায্যতা থাকে না।

ছেলে সন্তান তার বিবাহিত জীবনে নিজের বউকেও অতি শ্রমে বাধ্য করায়, আর নারীর অধিক শ্রম প্রত্যাশাতো করেই। অন্যদিকে অতিশ্রমে মাতা যখন অকাল বাধ্যকে মৃত্যুমুখে পতিত হন, সন্তানদের সুপথে পরিচালিত করার জন্য তখন তো মাকে দরকার, ঠিক সে সময়ই তিনি তাদের ফেলে যান।

স্ত্রীকে উদ্বেগ ও অশান্তির হাত থেকে রক্ষা করার ও তার চিত্তকে আনন্দে রাখার দায়িত্ব স্বামীর। আর এ ব্যাপারে তাকে সর্বপ্রকার সাহায্য করতে হবে, কাজ ভাগ করে নিতে হবে, সমব্যথী ও সহযোগী হতে হবে। নতুবা রাতের শয্যায় স্ত্রীকে উপযুক্ত সঙ্গী মনে হবে না, নির্মল আনন্দ ব্যহত হবে।

নিজে বা সন্তানকে কখনো অলসতা পোষণ করতে দেয়া উচিত না, কারণ মনুষ্যস্বভাব শীঘ্রই আলস্য-প্রবণ হয়ে উঠে। সংসারের কাজের সঠিক শ্রমবিভাজনের অভাবে অলসতা শিক্ষা দেয়া পরিহার করতে হবে।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

১৯ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ০৩ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি, সোমবার