শেরপুরের শ্রীবরদীর নির্যাতিত সেই গৃহকর্মী সাদিয়ার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

শেরপুর প্রতিনিধি ::

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব শাকিলের স্ত্রী রুমানা জামান ঝুমুরের বর্বরোচিত নির্যাতনের শিকার ১০ বছর বয়সী গৃহকর্মী শিশু সাদিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তির দীর্ঘ ২৮ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ২৩ অক্টোর শুক্রবার সন্ধা ৬ টায় অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো।

এ ঘটনায় নির্যাতনকারী গৃহকর্ত্রী রুমানা জামান ঝুমুরকে শ্রীবরদী থানা পুলিশ ঘটনার পর ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার গ্রেপ্তার করে । বর্তমানে সে শেরপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, শিশু সাদিয়া উপজেলার পৌর শহরের মুন্সীপাড়া মহল্লার দরিদ্র ট্রলিচালক সাইফুল ইসলামের মেয়ে। নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া শিশু সাদিয়াকে ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। ঘটনার ২৮ দিন পর শুক্রবার শিশুটি ময়মনসিংহ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলো। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন খোকার ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব শাকিল এবং তার স্ত্রী রুমানা জামান ঝুমুরের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে প্রায় ২/৩ বছর পূর্বে কাজ করার জন্য নিয়ে যায়। কিছুদিন থেকেই শিশু সাদিয়ার কাজ-কর্মে নানা ভুল-ভ্রান্তির অজুহাতে তার উপর শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। কাজে সামান্য ভুল হলেই বেদম প্রহার ও খুন্তির ছ্যাকার কারণে তার মাথায়, পিঠে ও কাধে গুরুতর জখম ও দগদগে ক্ষত’র সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশী একজন ৯৯৯ নাইনে ফোন করলে শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করে।

শ্রীবরদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টেলিফোনে জানান, আসামী রুমানা জামান ঝুমুর কারাগারে রয়েছে। লাশ আসলে ময়নাতদন্তের পর হত্যা মামলা নেয়া হবে।

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, পাঠকের আস্থাই আমাদের মূলধন

২৪ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ০৮ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি, শনিবার