চাঁদপুর হানারচরে দুমুখো সাপ হাবু ছৈয়াল : দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক অনিয়ম

হানারচরে নৌকার দুই মাথায় বৈঠা বেয়ে নেতা হওয়ার চেষ্টা হাবু ছৈয়ালের 

 কখনো সুজিত রায় নন্দী কখনো দীপু মনি

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৩ নং হানারচর ইউনিয়নে দলীয় দুই নৌকায় পা রেখে নেতা হতে চান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবু ছৈয়াল নামের এক আওয়ামীলীগ কর্মী। যখন যেখানে সুবিধা মনে করেন তখন সেদিকেই ঝুঁকেন হাবু ছৈয়াল। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বড় নেতা কিংবা পরিষদের দায়িত্ব পেতে দলের শীর্ষস্থানীয় দুইজন নেতার ছবি সংযুক্ত করে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন করে থাকেন।

তিনি কখনো ডাঃ দীপু মনি, কখনো সুজিত রায় নন্দীর সাপোটার হয়ে কাজ করেন। আর এ নিয়ে ওই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের নানা প্রশ্ন। এছাড়াও হাবু ছৈয়াল দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করছেন বলেও নানা অভিযোগ রয়েছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে কয়েক বছর পূর্ব থেকে হানারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবু ছৈয়াল দলীয় বড় পদ পেতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর একজন ঘনিষ্ঠ কর্মী হয়ে কাজ করে আসছেন।

পরবর্তীতে আবার তিনি সুজিত রায় নন্দী থেকে নিজেকে গুটিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির দিকে ঝুঁকেন। শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আসতে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন বিশেষ দিনে শিক্ষামন্ত্রীর ছবি সংযুক্ত করে শুভেচ্ছা ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করেন।

আবার কখনো, কখনো সুজিত রায় নন্দীকেও শুভেচ্ছা জানিয়ে এমন ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করে থাকেন। এভাবেই হানারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু ছৈয়াল নিরবে নিভূতে বহুরূপী দুমুখো সাপ হয়ে দলের জন্য কাজ করছেন। তার এমন দুমুখী কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি সুবিদাবাদী নেতা হিসেবেই আখ্যায়িত হয়েছেন।

শুধু তাই নয়, এমনও অভিযোগ রয়েছে এই হাবিবুর রহমান হাবু ছৈয়াল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা হয়ে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় নানা অনিয়ম করে আসছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ইউনিয়নবাসির অভিযোগ হরিণা ফেরিঘাটে বিভিন্ন যানবাহন থেকে তার ছেলে সহ তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করে থাকেন। এমনকি হাবু ছৈয়াল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের নামে হারিণা চৌরাস্তা এলাকায় ওয়াপদার জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণি করেন। সেখানে নামেমাত্র একটি দোকানকে অফিস করা হলেও বাকি দোকানগুলো তিনি মার্কেট হিসেবেই নির্মাণ করেছেন। এভাবেই হাবু ছৈয়াল দলের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করে চলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ইউনিয়ন বাসির প্রত্যাশা এমন দুমুখো আওয়ামীলীগ নেতা থেকে দলের সুনাম অক্ষুন্নু রাখতে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রকৃতভাবে যাচাই করে তার বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।

এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান হাবু ছৈয়ালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বলেন, সুজিত রায় নন্দীকে নিয়ে আমি কোনও ব্যানার ফেস্টুনে শুভেচ্ছা জানাইনি। এমন শুভেচ্ছার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার নেত্রী ডাঃ দীপু মনি।

পরবর্তীতে তিনি বলেন, আমি বহু বছর আগে সুজিত রায় নন্দীকে নিয়ে শুভেচ্ছা ব্যানার ছাপিয়েছি। সেটা ২০০১ সালে, দীপু মনি আসার আগে।

আমরা সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, পাঠকের আস্থাই আমাদের মূলধন

২৬ অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ১০ কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি, সোমবার