করোনাকালে পড়ালেখার প্রতি অমনোযোগী হয়ে পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা

কবির হোসেন মিজি :

দেশের করোনা পরিস্থিথিতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে পড়া লেখায় অমনোযুগী হয়ে পিছিয়ে পড়ছে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা।

করোনার প্রথম দিকে লকডাউন থাকাবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে কওমী মাদরাসা ব্যধিত বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। তারপর থেকেই ঘরবন্ধী হয়ে পড়ে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা।

এর ফলে অলসতা সৃষ্টি হয়ে পড়া লেখার প্রতি অমনোযুগী হয়ে পড়ছে শিক্ষর্থীরা। চাঁদপুর শহরের অনেক অভিবাবকরা জানান, করোনার প্রভাবে সরকার ঘোষিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে ঘরবন্ধী থেকে পড়া লেখার প্রতি উৎসাহ হারিয়ে অমনোযোগী হয়ে পড়ছে আমাদের ছেলে সন্তাররা।

গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু করে অক্টোবর টানা ৩ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৬/৭ মাস পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার আশায় ছিলো বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

চাঁদপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্কুল খোলার বিষয়ে কোন অনুমোদন দিচ্ছে না। কারন করোনাকালীন এ সময় বাড়ির বাহির বিদ্যালয়ে গিয়ে যদি শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পাকিস্তান, আমেরিকা সহ কয়েকটি দেশে বিদ্যালয় খোলার পর বেশ কিছু শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলে পুনরায় বিদ্যালয় বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

শিশুদের জীবন বিপন্ন হওয়া আশঙ্কায় বিদ্যালয় খোলা বিলম্ব হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনার কারণে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

যদিও প্রথমে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করার কথা জানানো হয়েছিল।
পরে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর নয়, কওমি মাদ্রাসা ছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি থাকবে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে শুরু হয় ‘লকডাউন’।

টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই থাকে।

এই পরিস্থিতিতে দেশে করোনার ২য় ঢেউয়ের আশংকায় এখনো পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

যদিও কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করছেন। কিন্তু করোনার করোনার পার্দুভাবে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে পড়া লেখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে, অমনোযুগী হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।