কৃষকদের চাষাবাদে বাধা দেয়ার অর্থ হলো, নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা

সম্পাদকীয় …

আমাদের ক্ষুধা নিবারনের জন্যে আমাদের খেতেই হবে। আমরা খেলেই আমরা বাঁচতে পারবো। আর আমাদের খাদ্যের যোগানের জন্যে কৃষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।

কবির ভাষায় বলতে হয়, ‘সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা’। সুতরাং চাষীরাই আমাদের বেঁচে থাকার জন্যে পরিশ্রম করছে। তারা যদি পরিশ্রম না করে তাহলে আমরা খাবার পেতে পারি না। সুতরাং তারা যেন ভালোভাবে কাজ করতে পারে, তাদের কষ্টের ফসল যেন জমিতে পেতে পারে সেজন্যে তাদের সুযোগের কথা আমাদের চিন্তা করতে হবে। উপরন্তু সেখানে যদি তাদের বাধা দেয়া হয়, এর চেয়ে বড় কষ্টের আর কিছু নেই। কৃষকদের ফসল চাষাবাদে বাধা দেয়ার অর্থ হলো, নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা।

প্রিয় সময়ে ‘চাঁদপুরের বিষ্ণপুরে সেচ প্রকল্পের ড্রেন কেটে ১২ হেক্টর ইরি চাষে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কৃষকদের কীভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। সেচ প্রকল্পের ড্রেন কেটে ইরি ধান চাষে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারনে ওই গ্রামের একাধিক ইরি ধান চাষের কৃষকরা গণসাক্ষর দিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্নিজ ফাতেমার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা ঐ কৃষকরা তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুফল পাবেন কতটুকু! আমরা প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জেনেছি, কৃষকদের হুমকি-ধামকি দেয়া হয়েছে। যেন তারা ধান চাষ করতে না পারে।

আমরা আশা করবো, কৃষকরা যাতে জমিতে ফসল ফলাতে পারে সেই ব্যবস্থা যথাযথ কর্তৃপক্ষ করবেন। ঐ এলাকার স্থানীয় কৃষকরা যাতে আগের মতোই কোনো বাধা ছাড়াই চাষাবাদ করতে পারে সেজন্যে ড্রেনটি চালু করতে পারে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কৃষি অধিদপ্তর ও প্রশাসনের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আমরা খবরের বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী, সঠিক সংবাদ পরিবেশনই আমাদের বৈশিষ্ট্য

আপডেট সময় : ০১:০৪ পিএম

০৭ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২১ রবিউস সানি ১৪৪২ হিজরি, সোমবার