দোহারে পূর্ব শত্রুতার জেরে মাছের দুই আড়তদারের হামলা, আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ঢাকার দোহার উপজেলার মেঘুলা বাজারের নদীর পাড়ে দুই মাছের আরতদারের মাছ ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের হাতাহাতির দ্বন্দ্বে ৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

২২ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এবিষয়ে দোহার থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করেছে দুই পক্ষ।

আহতরা হলেন, উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর গ্রামের আ. খালেক মোল্লার ছেলে দেলোয়ার মোল্লা (৫০), আয়নাল শেখের ছেলে কাদের শেখ (৩৬), আবেদ আলীর ছেলে ঝন্টু সাং মালিকান্দা, দেলোয়ার মোল্লার ছেলে আবির মোল্লা (২৫) নামের চার জন।

আহত দেলোয়ার মোল্লা জানান, আমার ছেলে আবির মোল্লাকে মাছ দিতে আসে এক জেলে সেই মাছ জোর করে নিয়ে বিক্রি করছে শামীম মোল্লা। একটু পরে আরও এক জেলে আমাদের মাছ দিতে আসলে সেগুলোও নিয়ে যাচ্ছিল শামীম আমি বাঁধা দিলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে ফোন করে লোকজন এনে আমাদেরকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এ বিষয়ে আমি দোহার থানায় একটি অভিযোগ করেছি।

অভিযুক্তরা হলেন, মধুরচর গ্রামের রমজান মোল্লার ছেলে শামীম মোল্লা (৪৮), খালেক মোল্লার ছেলে শাহিন মোল্লা (৩৮), কিনাই মোল্লার ছেলে জামাল মোল্লা (৬০), ফয়জল বেপারীর ছেলে জাহাঙ্গীর (৪০), মন্টু মোল্লার ছেলে রাব্বি মোল্লা (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।

এবিষয়ে শাহিন মোল্লার ভাই চঞ্চল মোল্লার সাথে কথা বললে তিনি জানান, শামীম মোল্লাকে দেয়া মাছ নিতে বাঁধা দেয় দেলোয়ার মোল্লা এতে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে জামাল মোল্লার সহযোগিতায় একটি মিমাংসায় পৌঁছে যাওয়ার পরে ঝন্টু শামীম মোল্লার গায়ে হাত তুলে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি লেগে যায়।

আহত দেলোয়ার মোল্লা অভিযোগ করে দোহার থানার (পুলিশ) এস আই রাকিব ও এ এস আই সাদিকুল তাদের চিকিৎসা নিতে বাধা দেয় এবং দেলোয়ার মোল্লাদের থানা হাজতে আটক করে রাখবে।

এ বিষয় মুঠোফোনে এস আই রাকিব জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত এই সব কথা সব মিথ্যে। আমরা এই সব কোন আচরণ করি নি বরং তাদের কে সুষ্ঠভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি এবং তাদের কে বলি দুই পক্ষের লিখিত অভিযোগ আমরা গ্রহন করেছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।