কী উত্তম!

কথিকা

লিখেছেন : ক্ষুদীরাম দাস

‘যে প্রাচুর্য কুপথে টানে, দারিদ্রতা তার চেয়ে হাজার গুণ উত্তম।’-এ কথাটি তখনই আসে; যখন প্রাচুর্য আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি না। প্রাচুর্যকে দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই, কিন্তু প্রাচুর্যই আমাদের আরো লোভী করে তোলে, অহঙ্কারী করে তোলে, আমরা দাম্ভিকতায় বসবাস করতে শুরু করি। অর্থ সম্পদ আমাদের অন্ধকারে নিয়ে যায় কখনো কখনো।

তখন আমরা সঠিক পথ খুঁজে পাই না। অন্ধকারে হাতরাতে থাকি। প্রাচুর্য আমাদের বিবেককে অবশ করে দেয়। তখন চারিদিকের দরিদ্র মানুষগুলোকে আমরা অবহলো করতে শুরু করি।

চোখ রাঙিয়ে কথা বলি, উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ আমাদের মনমগজে ঢুকে যায়। আমাদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে দারুণভাবে অন্তরায় হয়ে যায় প্রাচুর্য! কখনো কখনো আমরা এতটাই বিপদের মধ্যে পড়ে যাই যে, তখন সেখান থেকে আমরা আর বেঁচে উঠতি পারি না। আমাদের সম্মানের জায়গাটি নষ্ট হয়ে যায়, অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়।

অথচ দারিদ্রতায় কোনো অহঙ্কার নেই। দাম্ভিকতার কোনো সূত্র নেই। প্রাচুর্যে জীবনযাপনে যদি অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়, এর চেয়ে বরং দারিদ্রতা হাজার গুণ উত্তম। দারিদ্রতার মধ্যে সততার পথ রয়েছে তা প্রাচুর্যের চেয়েও বেশি ভালো! তাই বলে টাকা পয়সা আমাদের দরকার নেই, সেটা বলা ভুল হবে। সবার উপরে মনুষ্যত্ব! মনুষ্যত্ব নষ্ট হয়ে গেলেই প্রাচুর্যকে নিয়ে প্রশ্ন চলে আসে। কেননা প্রাচুর্যের কারণেই আমাদের জীবনকে কখনো কখনো ধ্বংস করে দেয়।