মতলবে পুনরায় মেয়র হলেন লিটন, কাউন্সিলর পদে নতুন মুখ

গোলাম নবী খোকন : শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলো মতলব পৌরসভা নির্বাচন। এতে মেয়র পদে বিপুল ভোটে পুনরায় মেয়র হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আওলাদ হোসেন লিটন। সেইসাথে সংরক্ষিত মহিলা এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে এসেছে নতুন মুখ।

এদিকে নির্বাচনের দিন দুপুরে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রধান। তবে মতলব পৌরসভার সবকটি কেন্দ্রে ঘুরে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছ থেকে তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের কারণে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন (প্রতীক- নৌকা) ২০ হাজার ৬শত ৯৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র এনামুল হক বাদল (প্রতীক- ধানের শীষ) পেয়েছেন৯শত ৭৯ ভোট। যদিও বিএনপি মনোনিত এই প্রার্থী নির্বাচনের নির্বাচনের ৬দিন পূর্বে নির্বাচন বর্জন করেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী দেওয়ান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন কবির (প্রতীক- লাঙ্গল) ১৯৭ ভোট এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ সফিকুল ইসলাম (প্রতীক- হাসপাখা) ৭৫৭ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১নং ওয়ার্ড থেকে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার পারভেজ (প্রতীক- টেবিল ল্যাম্প)। উনার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২৯শত ২১। ওনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী প্রতীক ডালিম পেয়েছেন ১৫৫ ভোট। ২ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ লিয়াকত আলী সরকার (প্রতীক-টেবিল ল্যাম্প) পেয়েছেন ১হাজার ৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মজিবুর রহমান মন্টু প্রতীক উটপাখি পেয়েছেন ৮শত ৮ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ড থেকে ১৭ শত ৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ সারওয়ার হোসেন (প্রতীক-উটপাখি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কিশোর কুমার ঘোষ প্রতীক টেবিল ল্যাম্প পেয়েছেন ৮শত৭২ ভোট। ৪নং ওয়ার্ড থেকে১হাজার ৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনিসুর রহমান প্রতীক পানির বোতল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী অহিদুজ্জামান মৃধা প্রতীক উটপাখি পেয়েছেন ৫শত ৬০ ভোট। ৫নং ওয়ার্ড থেকে ১২শত ৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়াজউদ্দিন প্রধান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফারুক কাজী প্রতীক পেয়েছেন ১১শত ৭ ভোট। ৬নং ওয়ার্ড থেকে ১১শত ৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম মোহন প্রতীক পাঞ্জাবি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মামুনুর রশিদ মৃধা প্রতীক টেবিল ল্যাম্প পেয়েছেন ৯শত ১৫ ভোট। ৭ নং ওয়ার্ড থেকে ১৩শত ৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন পিন্টু চন্দ্র সাহা প্রতীক উটপাখি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও মুন্সি প্রতীক পানির বোতল পেয়েছেন ৬শত ৬৭ ভোট। ৮ নং ওয়ার্ড থেকে ১৪শত ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মামুনুর রশীদ চৌধুরী বুলবুল প্রতীক পানির বোতল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ কামাল হোসেন প্রতীক উটপাখি পেয়েছেন ৫শত ৩০ ভোট। ৯নং ওয়ার্ড থেকে ১৩শত ১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হাই প্রতীক ডালিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাজরা প্রতীক পাঞ্জাবি পেয়েছেন ৮৮ ভোট।

অপরদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১নং (১,২,৩ নং ওয়ার্ড) থেকে ৪হাজার ৫শত ৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মরিয়ম ইসলাম শিখা প্রতীক আনারস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দিনার আক্তার বিপ্লবী প্রতীক অটোরিকশা পেয়েছেন ৩ হাজার ২ শত ৪৮ ভোট। ২ নং (৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড) ওয়ার্ড থেকে ৪ হাজার ৯শত ৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জোহরা খাতুন প্রতীক আনারস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মাকসুদা আক্তার প্রতীক জবাফুল পেয়েছেন ৩ হাজার ৮শত ৩১ ভোট। ৩নং (৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড) ওয়ার্ড থেকে ৩হাজার ৪ শত ৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাইরিন সুলতানা প্রতীক অটোরিকশা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাজেদা বেগম প্রতীক চশমা পেয়েছেন ১হাজার ৬শত ৮২ ভোট।