মাদারীপুর সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে মহিলার চুল ধরে টানা ও পেটে লাথি দেওয়ার অভিযোগ 

মোঃ আমানুল্লাহ ফকির,  মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি :
মাদারীপুর সদর মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে সাজেদা বেগম (৫৫) নামে এক মহিলার পেটে লাথি দেওয়ারর অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সন্ধায় পৌর শহরের উকিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবী দুপক্ষই পুলিশের সাথে খারাপ আচরণ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ফেরদৌস সৃতি সংঙ্ঘ ক্লাবের ৬০ লিংক খালি জমি রয়েছে। শনিবার সকালে ওই জমিতে বাশঁ, টিন দিয়ে বেড়া দেয় একই এলাকার সোবহান মিয়া। মৃত ফেরদৌস বেপারির বোন ইয়াসমিন দিপা তার ছেলেসহ কয়েকজন নিয়ে ক্লাবের জমির কাছে যায় ও ছোবাহানের সাথে কথা বলে। এক পর্যায় দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। খবর পেয়ে সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে দুপক্ষ কথা কাটাকাটি করে। পড়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দেশ ও সাগর মাল নামে দুজনকে আটক করে।

এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুই পক্ষের ১৭ জনের নামে মামলা করেছে।

উকিলপাড়া এলাকার মফিউদ্দিনের স্ত্রী সাজেদা বেগম(৫৫) অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ মহিলাসহ সবাইকে গালিগালাজ করে  চুল ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি চুল ছেরে দিতে বলেছিলাম তার জন্য পুলিশ আমার পেটে লাথি দিয়ে আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

জাতিয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রেহানা পারভিন লিপা বলেন, ক্লাবের জায়গাটা আমাদের, সোবাহান মিয়া এটা দখল করার পায়তারা করছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। পুলিশ আমার সাথেও খারাপ আচরণ করেছে।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার মূলহোতা সোবাহানকে এক নাম্বার আসামী না করে আমাকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও আমার ছোট বোন রেহানা পারভিন দিপার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি পুলিশ নিয়ে গেছে। আমি এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সোবাহন মিয়া বলেন, ওই জায়গার সব কাগজ আমার নামে। ওরা অন্যায় করেছে তাই পুলিশ ওদের টানতে টানতে নিয়া গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, দ্বন্দ্ব ছাড়ানোর সময় কিছু একটা হতে পারে কিন্তু আমি কাউকে কিছু বলিনি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে দুই পক্ষের ১৭ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটা মামলা দ্বায়ের করা হয়েছে।

সাজেদা বেগম কে লাথি দেওয়ার ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহাবুব হাসান বলেন, “আপনি নিশ্চিত থাকেন এমন কোন ঘটনা ঘটেনি তবে পুলিশের সাথে দুই পক্ষই খারাপ ব্যবহার করেছে।”