স্বরূপকাঠিতে নানা জটিলতায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ ৬ মাসেও ভাতার টাকা পায়নি

মোঃ মাসুদুল আলম অপু
স্বরূপকাঠী প্রতিনিধি :

মোবাইল অ্যাকাউন্টে ভাতা প্রদান পদ্ধতি চালু করার পর নতুন জটিলতায় পড়েছে স্বরূপকাঠির ভাতাভোগীরা। মোট ভাতাভোগীর অন্তত ২৫ ভাগের বেশী বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধিরা গত ৬ মাসেও তাদের ভাতার টাকা পায়নি। এ উপজেলায় ভাতাভোগীর সংখ্যা মোট ২১ হাজার ১১০ জন। এর মধ্যে পাঁচ সহা¯্রাধিক মানুষ ভাতার টাকা না পেয়ে প্রতিদিন সমাজসেবা দপ্তরে ভির করছে। সমাজসেবা দপ্তরের কর্মকর্তা,কর্মচারীরাও এদের চাপ সামাল দিয়ে অবিরাম কাজ করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। ভাতাভোগীর মোবাইল নম্বরের সংখ্যা ভুল থাকা, একই মোবাইল নম্বর দিয়ে একাধিক বিকাশ অ্যাক্যাউন্ট খোলা, অন্যের নম্বর ব্যবহার করাসহ নানা জটিলতায় অনেকের টাকা অন্যত্র চলে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সমাজসেবা দপ্তর সূত্রে জানাগেছে এ উপজেলায় বয়স্ক, বিধবা,স্বামী পরিত্যাক্তা ও প্রতিবন্ধী ভাতার সংখ্যা মোট ২১ হাজার ১১০ জন। দায়িত্বহীন লোকদের দিয়ে মোবাইল ফোনে অ্যাক্যাউন্ট খোলা এবং অসচেতন ভাতাভোগীদের কারনে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভরতকাঠি গ্রামের গিয়াস উদ্দিন ফকির তার ভাতার বই দেখিয়ে বলেন, বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় তার মোবাইলের সঠিক নম্বর ০১৭১৬৬৫১৭৪৮ লিখে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্মি। অথচ তার ভাতার টাকা চলে গেছে নেত্রকোনা জেলার জনৈক ব্যক্তির ব্যবহৃত ০১৭১৬৬৩১৭৪৮ নম্বরে। এভাবে অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে সমাজসেবা দপ্তরে আসছেন ভাতাভোগীরা। এক প্রতিবন্ধীর পিতা মো. মুজিবর বলেন,এতদিন ব্যাংকে গিয়ে ভাতা তুলতে অনেক কষ্ট করতে হতো। গরীবের সুবিধার জন্য বর্তমান সরকার মোবাইল এক্যাউন্টে ভাতা প্রদানের এ পদ্ধতি চালু করলেও উল্টো সমস্যায় পড়ছে ভাতা ভোগীরা।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস বলেন, মোবাইল এক্যাউন্ট খোলার সময় সংশ্লিষ্ট বিকাশ এজেন্টদের দায়িত্বহীনতা ও ভাতাভোগীদের অসচেতনতার কারনে অর্ধেক মানুষের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। গত একমাস ধরে আমরা এগুলো ঠিক করতে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি শীঘ্রই বাকী ৫/৬ হাজার ভাতাভোগীর সমস্যার সমাধান হবে।