চাঁদপুর শহরের প্রধান মৎস্যকেন্দ্র মাছঘাটে ইলিশের আমদানি একেবারেই কম

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর :
চাঁদপুর জেলা ইলিশের শহর হিসেবে সারাদেশে পরিচিত। আর ক্রেতা, বিক্রেতা এবং মহৎ ব্যবসায়ীদের আমদানীস্বল চাঁদপুরের মাছঘাট। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ক্রেতাশূন্য। করোনাভাইরাস এবং কঠোর লকডাউনের প্রভাবে জুলাইতে অন্যান্য বছরের তুলনায় ইলিশের আমদানি একেবারেই কমে গেছে।

জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এই তিন মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। আর এই মৌসুমকে ঘিরে সব সময় চাঁদপুর শহরের প্রধান মৎস্য কেন্দ্র তথা বড়স্টেশন ইলিশের আড়ত থাকে সরগরম। তবে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের শুরুতে ইলিশের কিছুটা আমদানি বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের।

গতকাল ৩১ জুলাই দুপুরে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের উপস্থিতি একেবারেই কম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা চলাফেরা করছে। বড় বড় ট্রলার ও পিকআপ থেকে টুকরিতে করে নামানো হচ্ছে ইলিশ। নোয়াখালী, রামগতি, আলেকজান্ডার ও হাতিয়া থেকে এই ইলিশ মাছগুলো আনা হয়েছে। এসব ইলিশের সাইজ খুবই ছোট। বর্তমানে চাঁদপুর মাছঘাটে প্রতিদিন ১০০’থেকে ‘১৫০ মন ইলিশ আমদানি হচ্ছে। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১ হাজার টাকা। এক কেজির ইলিশের দাম ১২০০ শ’ টাকা।

চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী বনিক সববায় সমিতির ২ বারের সাধারণ সম্পাদক বড়স্টেশন মাছ ঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী রোটাঃ হাজী সবেবরাত সরকার জানান, গত তিন দিন ধরে ইলিশ খুবই কম আসছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহের শুরুতে কিছুটা ইলিশের আমদানি দেখা যায়। যার অধিকাংশ ইলিশ ছিল নােয়াখালী, হাতিয়া ও ভােলার সাগর মােহনা অঞ্চলের। বর্তমানে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা নদী বা সাগরে যেতে না পারায় এখন ঘাটে তেমন ইলিশ আসছে না। তার ওপর করােনা মহামারির কারণে চলমান কঠোর লকডাউনে কমে গেছে ইলিশের আহরণ। এ কারণে ইলিশের দামও বর্তমানে বেশি। মাছঘাটে শতাধিক আড়তদারের রয়েছে একশো কোটি টাকার বেশি পুঁজি। আমরা আশাবাদী আগস্ট- সেপ্টেম্বরে ইলিশের ভরা মৌসুম, যে কারণে আমদানি আরও বৃদ্ধি হবে।