সখীপুরের প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের শিক্ষকরা ৪ ভাগে বিভক্ত!

মেহেদী হাসান রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ

টাঙ্গাই‌লের সখীপুর উপ‌জেলার প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের শিক্ষকরা চার ভাগে বিভক্ত হ‌য়ে‌ পড়ে‌ছেন। সমি‌তির কমি‌টি ঘোষণা‌কে কেন্দ্র ক‌রে শিক্ষক‌দের ম‌ধ্যে এ দ্বন্দ্ব ও বিভাজ্যতা দেখা দি‌য়ে‌ছে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দুই‌টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (মেয়াদ উ‌ত্তীর্ণ) এবং নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ক‌মি‌টি পৃথকভা‌বে কার্যক্রম প‌রিচালনা কর‌ছে।

প্রাথ‌মিক বিদ্যাল‌য়ের শিক্ষক‌দের এমন বিভ‌ক্তি‌তে স্থানীয় মহ‌লে আ‌লোচনা-সমা‌লোচনার ঝড় বই‌ছে।

জানা যায়, শিক্ষক‌দের এক‌টি অংশ গত ১৬ জুলাই জাহানারা খানকে সভাপতি ও এসএম রুবেলউজ্জামানকে সম্পাদক করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সখীপুর উপ‌জেলা শাখার ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ‌দি‌কে গত ১৮ আগস্ট ওই কমিটিকে অবৈধ দাবী করে শামীম আল-মামুনকে সভাপতি ও আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদ‌স্যের পাল্টা কমিটি ঘোষণা করে শিক্ষ‌কের অপর এক‌টি অংশ। ফ‌লে বাংলা‌দেশ প্রাথ‌মিক শিক্ষক স‌মি‌তি দুইভা‌গে বিভক্ত হ‌য়ে যায়।

এরআ‌গে সখীপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত (মেয়াদ উত্তীর্ণ) এক‌টি কমিটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যার সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম (ইতিমধ্যে চাক‌রি থে‌কে অবসরপ্রাপ্ত) এবং সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল।

এছাড়া নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিরও এক‌টি কমিটি র‌য়ে‌ছে। এর সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

প্রাথমিক বিদ্যাল‌য়ের শিক্ষকদের এমন পাল্টাপা‌ল্টি কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।

উপ‌জেলার গড়গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‌শিক্ষক‌দের এমন বিভাজনে সাধারণ শিক্ষকরা চরমভাবে বিব্রত। সক‌লের সম্ম‌তি‌তে একটি ঐক্যবদ্ধ ক‌মি‌টি প্র‌য়োজন।

এ বিষ‌য়ে জান‌তে চাই‌লে উপ‌জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রা‌ফিউল ইসলাম ব‌লেন, পৃথক ক‌মি‌টি ঘোষণার কথা শু‌নে‌ছি। শিক্ষক‌দের সংগঠনগু‌লো আমা‌দের নিয়ন্ত্র‌ণের বাই‌রে। ওইসব সংগঠ‌নের কার্যক্রম একান্তই শিক্ষকদের ব্য‌ক্তিগত বিষয়। ত‌বে নি‌জে‌দের স্বা‌র্থেই ভেদা‌ভেদ ভু‌লে গি‌য়ে শিক্ষক‌দের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্র‌য়োজন।