দোহারে র‍্যাবের অভিযানে দুই ব্যাবসায়ীর জরিমানা

মাকসুমুল মুকিম দোহার-নবাবগন্জ প্রতিনিধি :

ঢাকার দোহার উপজেলার বিভিন্ন কসমেটিকস গোডাউনে র্যাব-১১ এর সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে উপজেলার খারাকান্দা এলাকার মেসার্স মা কসমেটিকস এর স্বতাধীকারি মোঃ আনোয়ারা হোসেন এবং উপজেলার কলেজ মার্কেটের বিপরীতে অবস্থিত নীলছায়া প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল রহমান কে মোবাইল কোটের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আরোপ ও আদায় করা হয়।

এসময় নীল ছাঁয়া এন্টারপ্রাইজ ও মা এন্টারপ্রাইজের গোডাউন থেকে প্রায় ৫০ ধরনের নকল কসমেটিকস ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট এ,এফ, এম, ফিরোজ মাহমুদ (নাঈম)।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, নকল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কসমেটিকস্, হারবাল ও ক্লিনিক্যাল পণ্য মজুদ করে বিক্রয় করার অভিযোগে র‌্যাব-১১ এর র‌্যাবের স্ক্রোয়াড্রোন লিডার এডি মনিরুল আলমের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনায় নামে।

অভিযানে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্যের সন্ধান পাই আমরা। মানুষের মধ্যে সৌন্দর্যবর্ধন ও ত্বকের যত্ন সম্পর্কিত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। মানুষের এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে নকল কসমেটিকস পণ্যে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। জব্দ করা প্রায় সবগুলো পণ্য নকল ও অবৈধ।

এসব পণ্য মজুদ ও বাজারজাত করার দায়ে নীল ছায়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আঃ রহমান ও মা এন্টারপ্রাইজের মালিক আমজাদ হোসেনকে ভোক্তা অধিকার আইনে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

র‌্যাবের স্কোয়াডন লিডারএডি মনিরুল আলম বলেন, এসব রঙ ফর্সাকারী ক্রীম মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলোতে হাইড্রোকুইনোন ও মার্কারি বা পারদ ব্যবহার করা হয়। এগুলো মানবদেহের ক্ষতি করে। এসব রাসায়নিকের ব্যবহারের কারণে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ভেজাল ও নকল পণ্য মজুদ ও সরবরাহকারী ও বিক্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানকালে সহযোগিতা করেন র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মনিরুল আলম সহ অন্যান্য র্যাব সদস্য।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

আরো পড়ুন : একজিমা হলে কী করবেন?