হাজীগঞ্জে অনুমোদন ছাড়াই চলছে ২৫ বেকারি

মো.মজিবুর রহমান রনি:

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় গড়ে ওঠা ২৫ টিরও বেশী বেকারীতে বি,এস,টি,আই এর অনুমোদন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরী ও বাজারজাত করা হচ্ছে। অথচ বিএসটি আই এ ব্যাপারে নিরব ভুমিকা পালন করছে। ফলে এ সব নিম্নমানের খাবার খেয়ে অনেকে পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারও মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাজীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা যেমন- হাজীগঞ্জের আলিগঞ্জে মাদ্দাখাঁ বেকারী (২), হাজীগঞ্জ বাজারে মিনহাজ বেকারী, দি চিটাগাং বেকারী,হোসেন খাঁর মালিকানাধীন চিটাগাং বেকারী ১-২, মীম ফুডস, মাম ফুডস, আর রহমান বেকারী, ধেররা ১ টি, সুহিলপুর ২টি, বেলঘর ১টি, পাতানিশ ১ টি, বাকিলা জাকির বেকারী,চেঙ্গাতলী খোরশেদ বেকারী, রামপুর ১টি , জগনাথপুর ১টি, আহম্মদপুর ১টি, বেলচোঁ মনির বেকারী, এদের কোনটারই নেই কোন কাগজপত্র নেই। কোন পরিবেশ এমন কি অনেকে্রই ট্রেড লাইসেন্সটাও নেই।

বাকী কারও একটা দুইটা আইটেমের উপর বিএসটিআই থাকলেও তৈরী হচ্ছে অনেক আইটেম। এই তলিকায় হচ্ছে আলীগঞ্জের মাদ্দা খাঁ বেকারী, হাজীগঞ্জ বাজারের মামনি বেকার, সানমুন বেকারী, চিটাগাং(আবুল হোসেন) বেকারী, রামচন্দ্রপুর খালেদ বেকারী, রাজারগাঁও বিসমিল্লাহ বেকারী, বাকিলা নিউ চিটাগাং বেকারী।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, অধিক মুনাফার আশায় বেকারী মালিকেরা কারখানাগুলোতে কম শ্রমিক নিয়োগ করেছেন। যাদের বেশীর ভাগই রোগাক্রান্ত এবং পরিচ্ছনতার ব্যাপারে অজ্ঞ। খাদ্য সামগ্রী তৈরীর সরঞ্জামাদীরও নাজুক অবস্থা। এলাকাবাসীর শত অনুরোধ ও প্রতিবাদ উপেক্ষা করে বেকারীর মালিকেরা এ ভাবেই তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

কয়েকটি বেকারী পরিদর্শন করে দেখা গেছে, শ্রমিকেরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, ঘর্মাক্তবস্থায় হাতে গ্লোবস ছাড়াই পাউরুটি, টোস্ট বিস্কুট, মিষ্টি সিংগাড়া ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তৈরীতে ব্যস্থ। মিষ্টি খাদ্য সামগ্রীতে মাছি উড়ছে। তৈরীকৃত খাদ্য সামগ্রী রাখা হয়েছে অন্ধকার ও অপরিচ্ছন্ন স্থানে। যেখানে তেলপোকার চলছে অবাধ বিচরন।

সে সাথে পরিশোধিত ফয়েল পলিপ্যাক ছাড়াই নিম্নমানের অপরিশোধিত পলিপ্যাকে পাউরুটি ও বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট প্যাকেট করা হচ্ছে। যে প্যাকেটের কোনটিতেই উৎপাদনের ও মেয়াদোর্ত্তীনের তারিখ নেই। নেই নিদৃষ্ট মুল্য। ফলে ইচ্ছে মাফিক মুল্যে বিক্রি হচ্ছে এ সব খাদ্য দ্রব্য। অনেক বেকারীতে খাবার অযোগ্য রুটি দিয়ে বিস্কুট তৈরী করা হচ্ছে।

সর্বপরি বেকারী গুলিতে এভাবে তৈরীকৃত খাদ্য সামগ্রী উপজেলা সদর কিংবা হাট বাজারে ও প্রতিদিন উপজেলার প্রত্যান্ত এলাকার পাড়া গ্রামের দোকানে সরবরাহ করা হয়। স্বাস্থ্য ও খাবারের মান সম্পর্কে অজ্ঞ গ্রামের সাধারন মানুষ হাতের কাছে এসব খাবার খেয়ে পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এদিকে বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই যথাযথ কতৃপক্ষের তদারকির অভাবে ২/১ টি ছাড়া সব বেকারীতেই যে প্রক্রিয়ায় এ সব নিম্নমানের খাবার তৈরী হচ্ছে তা অনেকটাই উদ্বিগ্নের।

এক বেকারীর মালিক কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, অন্যান্য বেকারীর তুলনায় আমার বেকারীর পরিবেশ অনেকটাই ভাল। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার কেন ? হাজীগঞ্জের কোন বেকারীতেই মানসম্মত কোন মেশিনও নেই এবং সরকার কতৃক নিষিদ্ধমেশিন দিয়েই তৈরী হচ্ছে বেকারীর আইটেম ।

হাজীগঞ্জ বেকারী মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো: শাহ আলমকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি এ বিষযে কিছু বলতে পারবো না ।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্যানিটারী ইনেস্পেক্টর শামছুল ইসলাম রমিজ বলেন- হাজীগঞ্জে ২৫ টার বেশী বেকারী আছে তার ভীতর মাত্র ২/৪ টা বেকারীর ২/৩ টা পন্যের উপরে বিএসটিআই অনুমোদন আছে বাকীগুলোতে নাই এ বিষয়ে আইনগত ব্যাস্থা নিতে পারে বিএসটিআই। এবং ফুড তৈরির ব্যাবহার করছে সরকার নিষিদ্ধ মেশিন ।আমরা আইনগত ব্যাবস্থা নিতে গেলে অনেক নেতা, বড় ভাইদের ফোন পাই তারপরও একটি বেকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি আরেকটির প্রক্রিয়া চলছে ।

বিএসটিআই এর চাঁদপুরে দায়িত্বে থাকা অফিসার তারেক রহমান বলেন- আমি এ সাইডের নতুন দায়িত্ব পেয়েছি আর হাজীগঞ্জ এলাকায় ডুকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নিব।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

আরো পড়ুন : যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : গেজ, অশ্ব,পাইলসের সহজ চিকিৎসা