যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কৃত হতে পারেন তারেক!

নিউজ ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়িতে হামলার ঘটনাটি তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্য সরকার এটিকে তাদের দেশের গণতন্ত্রের উপর একটি আঘাত হিসেবে গ্রহণ করেছে। আর এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

একজন ব্রিটিশ পার্লামেন্টিরিয়ানের গাড়িতে নৃশংসা হামলার ঘটনাকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে মনে করছে না ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এবং সরকার। আর এই প্রেক্ষিতেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে এই ঘটনার সাথে যদি তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তাহলে তাকে লন্ডনের পার্সন নন গ্রাটা ঘোষণা করা হতে পারে।

অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলেই তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে বহিষ্কার করা হবে। বর্তমানে তিনি লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করছেন। তার পাসপোর্টের মেয়াদও ফুরিয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তিনি এখন স্রেফ শরণার্থী।

আলাদা দুটো সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, তারেক রহমান ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। আবেদন গৃহীত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে লন্ডনে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, তারেক রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। আর এমন আশ্রিত ব্যক্তিদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, কিছু বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়।

আরো পড়ুন : শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা

টিউলিপ সিদ্দিকের গাড়ি বহরের ওপর হামলার ঘটনায় এবারই প্রথম নয়। এর আগেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল এবং ব্রিটিশ সরকার তাকে সতর্ক করেছিল। এর আগে তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা করেছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ নিয়ে বাংলাদেশি দূতাবাসের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানানো হয়। বেশ কিছু বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেপ্তারও হয়েছিল। সে সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করা হয়। পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকেও দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে তারেকের নির্দেশেই হামলা করা হয়েছিল। ব্যাপক ভাঙচুর এবং রাস্তায় বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন সফরের সময় তারেক রহমানের লোকজন আইন লঙ্ঘন করে অশালীন এবং আপত্তিকর ভঙ্গিমায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছিল।

তবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এখন তারেকের পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তার সঙ্গে একাধিক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে। এর আগে ২০০৭ সালে এফবিআই একটি রিপোর্টে তারেকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির যোগাযোগের প্রমাণ পায়। তাই তারেককে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রদানে অস্বীকৃতিও জানায়।

তারেক রহমানের সম্পর্কে এফবিআই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে তারেকের ব্যবসা রয়েছে। জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের চর্চাাকারী উগ্রবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠতা প্রবল।

আরো পড়ুন : যৌন রোগের কারণ ও প্রতিকার

সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনে বসে তারেক রহমান বিভিন্ন রকম অপকর্ম করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।

সন্দেহভাজন লেনদেনের জন্য তার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তারেক কৌশলে সেই অ্যাকাউন্টটি আবার চালু করতে সক্ষম হন। তবে এসব ঘটনা থেকে পার পেলেও একজন পার্লামেন্টিরিয়ানের গাড়িতে হামলার ঘটনা থেকে তারেক রহমান পার পাবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

এখন লন্ডনে বসে তারেক যতগুলো অপকর্ম করছেন তার সবগুলোরই তদন্ত হবে। যদি সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয় তাহলে তারেককে যুক্তরাজ্য থেকে বের করে দেয়া হতে পারে। বাংলাইনসাইডার।

আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধে শক্তিশালী ঔষধ

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

আরো পড়ুন : গেজ, অশ্ব,পাইলসের সহজ চিকিৎসা

আরো পড়ুন : মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ার হোমিও চিকিৎসা