পাপীর প্রার্থনা : ক্ষুদীরাম দাস

আমি খামখেয়ালিপনায় চলছি
হঠাৎ উদ্দেশ্যহীন আমার মন
ঢিল ছুঁড়ে দিই শান্তিপ্রিয় মৌঁচাকে
ওরা ঝাঁকে ঝাঁকে তেড়ে আসে
আমায় অশান্ত করে তুলতে;

আমি চলে যাই দূরসীমানায়
সীমাহীন ভাবনাকে ভাসিয়ে চলি
নৌকা ভাসাই কখনো শান্ত জলে
আর নৌকা ভাসাই তীব্র ¯্রােতে।
আমি কখনো বা খাঁড়া পাহাড় বেয়ে উঠি,
আর ভালো মানুষের দল ‘পাগল’ বলে।

মন আমার মরীচিকার মতো
অসাধারণ আর দ্বগ্ধ ক্ষতবিক্ষত
মনে হয় দয়াময় বিমুখ আমার প্রতি,
হতে পারিনি প্রভুর মনের মতো।

আমি ফুলের সৌন্দর্য্যে ছুটে চলেছি,
নিদ্রায় ছিলাম শুষ্ক মনে আমি সবুজের বুকে
ফুলের মিষ্টি গন্ধ অনুভব করিনি;
আর সৌন্দর্য তো ছোঁয়নি আমাকে।

দুষ্কৃতিকারী ঢিল মেরেছে,
আমার শান্তির মৌচাকে,
আমি আহত হই;
যেন ওদের বিবেক অবশ!
তবুও আমি শান্ত রই।

আমার জীবনের স্বস্তি থমকে দাঁড়ায়,
পাখির কিচিরমিচির বিচরন
আমায় জাগায় না।
তবুও আমি হেঁটে চলি
এঁকেবেঁকে বয়ে চলা পথে।

আমি বাঁকা পথে হেঁটেছি
ওরা আমায় হাঁটিয়েছে,
আমি সোজা পথ গিয়েছি ভুলে;
জীবন তরী ভাসালাম আমি

প্রভু, তোমার নামে পৌঁছিবো
এ জীবন ভাসিয়ে দিলাম, যাবো ঐ কূলে।

প্রভু, জীবনে করেছি যুদ্ধ কতো
তবুও আমি অভিযুক্ত;
আমি মনের সাথে দ্ব›েদ্ব জড়িয়ে
তোমায় করেছি কতো বিরক্ত।