ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশে জনবল সংকট, যানবাহন অপ্রতুল : গল্লাকে পুলিশ ফাঁড়ির দাবি

মো. মহিউদ্দিন, ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি : :
চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলাটি আয়তনে ও লোক সংখ্যায় সর্ব বৃহৎ। ১৯১৮ সনের ৭ অক্টোবর থানা প্রতিষ্ঠার পর পুলিশের জনবলে লোক সংখ্যার আনুপাতিক হারে লোকবল বৃদ্ধি করা হয়নি। ২

৩১.৫৬ বর্গ কি.মিটারের থানা পুলিশের ৫৯ জনবল দিয়ে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার আইন শৃংখলা সামাল দিতে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। ফলে দিন দিন অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলছে। সম্প্রতি মঙ্গলবার নিজ সন্তানের হাতে মা খুন হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এ দিকে সেই মান্দাতার আমলের ২ লাখ জন গোষ্ঠির জন্য অনুমোদিত ৫৯টি পদ সংখ্যার জনবল দিয়ে বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ জনগোষ্ঠি অধুষ্যিত উপজেলাকে সামল দিচ্ছে পুলিশ। তাছাড়া নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশের যানবাহনও।

আরো পড়ুন : শ্বেতীর সাদা দাগ দূর করার উপায়

আরো পড়ুন : মেহ প্রমেহ ও প্রস্রাবে ক্ষয় রোগের কার্যকরী সমাধানসমূহ

এ জন পদে ১৮০টি গ্রাম রয়েছে। এখানে স্কুল, মাদ্রাসা, কিন্টারগার্ডেনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা রয়েছে পাঁচশতাধীক, পাকা ,আধাপাকা ও কাঁচা রাস্তা রয়েছে ১ হাজার ১শত ৭ কি.মিটার। হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বেসরকারী হাসপাতালসহ ৬৩টি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। ৩০/৩৫টি বাজার রয়েছে। বিপুল পরিমান সরকারী , বেসরকারী ও স্বায়েত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বিপুল পরিমান জনসংখ্যা ও প্রতিষ্ঠান থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আইন শৃংখলার প্রয়োজনীয়তা বেশী রয়েছে। তাই সচেতন মানুষজন ৮০র‘ দশক থেকেই উপজেলার গল্লাক এলাকায় একটি পুলিশ-ফাঁড়ির দাবী করে আসছে।

বহুবার মানববন্ধন করেছে। তাছাড়া পত্র-পত্রিকায় লেখা-লেখিও হয়েছে। কিন্তু দাবীর বাস্তবায়নের আশার মুখ এখনও দেখেনি।

আরো পড়ুন : পাইলস রোগে করণীয়

আরো পড়ুন : জেনে নিন দীর্ঘক্ষণ মিলনের ঔষধ

এদিকে গৃদকালিন্দিয়ায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও জন বলের অভাবে গুটিয়ে নিতে হয়েছে। সবকিছ বিবেচনায় জনসংখ্যা ও আয়তনের বিচারে পদ সংখ্যা সৃজন পূর্বক আরোও ৫০ জন জনবল বৃদ্ধির দরকার মনে করছে সচেতন মানুষজন।

পাশাপশি পুলিশের মাত্র ২টি পুলিশ ভ্যান রয়েছে। কম পক্ষে আরোও ৫টি পুলিশ ভ্যান দরকার। কেননা প্রতিনিয়ত সিএনজি ৫/৭টি রিকিউজেশন করে পুলিশের মোভ করতে হচ্ছে। ফলে সিএনজি চালকরা অনেকটাই ইচ্ছার বিরুদ্ধেই রাতে পুলিশ নিয়ে যেতে হচ্ছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদ হোসেনের সাথে প্রিয় সময় প্রতিবেদকের আলাপকালে জানা যায়, এ থানায় বর্তমানে অনুমোদিত পদ সংখ্যা রয়েছে ৫৯টি। ইনস্পেক্টর ২,এসআই ৯, এএসআই ১৫ আর কনেসটেবল ৩০ জন ,বাবুর্চি এক , সুইপার একজন কর্মরত আছে।

তিনি প্রিয় সময়কে আরোও জানান, একটি ৫ তলা ভবন নির্মাণ কার্যক্রম প্রস্তাবাধীন রয়েছে। থানা ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত পরিমান জায়গা রয়েছে ভবন নির্মানের। জন সংখ্যানুপাতে ও পাশর্^বর্তী তিনটি থানা রামগঞ্জ, রায়পুর ও হাজীগঞ্জ থানার কানেক্টিভিটি থাকায় অপরাধ কর্মকান্ড অপরাধীরা অনেকটা সহজে সংঘটিত করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। তবে আমি সাধ্যমত আইন শৃংখলা রক্ষায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। জনবল আর যানবাহনের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।