টাঙ্গাইলের সখীপুরে নির্বাচনে হেরে গিয়ে মসজিদ ভেঙে দিলেন অর্থদাতা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের জমিতে টিনের তৈরি একটি মসজিদ ভেঙে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মসজিদটির নির্মাণে অর্থদাতা এসএম ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ ইউপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে ক্ষোভের বশেই খালাতো ভাইকে দিয়ে এ কাজ করিয়েছেন চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

গোলাম কিবরিয়া সেলিম উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গত ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলমের কাছে হেরে যান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে গোলাম কিবরিয়া সেলিম উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। কিছুদিন পর ওই ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে চেয়ারম্যানের খালাতো ভাই এসএম ইব্রাহিম হোসেনের অর্থায়নে টিন দিয়ে একটি মসজিদ তৈরি করা হয়।

মসজিদ ভাঙা প্রসঙ্গে নুরে আলম বলেন, ‘আমি এখনও দায়িত্ব পাইনি। ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের ওয়াকফ করা জমিতে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই অর্থায়ন করলেও মসজিদ ভাঙার অধিকার চেয়ারম্যানের নেই। তিনি কাজটি ঠিক করেননি। আমরা ওই স্থানে পাকা মসজিদ বানাবো।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যানের খালাতো ভাই এসএম ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘আমার অর্থায়নে গত ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে নামাজখানাটি তৈরি করেছিলাম। ঘরটিতে মানুষ নিয়মিত নামাজ আদায় করছিল না। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় ঘরটি ভেঙে বেলতলী এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে। ঘরটি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চেয়ারম্যান কিছু জানেন না। এখানে তার হাত নেই।’

চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, ‘আমার খালাতো ভাই এসএম ইব্রাহিমের ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে নামাজখানাটি তৈরি করা হয়। মানুষ সেখানে নামাজ আদায় করা ছেড়ে দেয়। তাই কয়দিন আগে ইব্রাহিম ওটা ভেঙে অন্যত্র স্থাপন করেছে। আমি মুসলমান হয়ে নামাজখানা ভাঙার অনুমতি দিতে পারি না। এটা ভেঙে নেওয়ার সময় ইব্রাহিম আমাকে বিষয়টি জানায়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিত্রা শিকারী বলেন, ‘এটা ভাঙা ঠিক হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’