গাঁজায় সর্বনাশ হতে চলেছে উঠতি বয়সীরা

সম্পাদকীয়

ইদানিং সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, উঠতী বয়সীরা মাদকে আসক্তে হয়ে পড়েছে বেশি। কেননা সংবাদপত্রে যাদের নাম উঠে আসছে ও বয়স উল্লেখ রয়েছে, তাতে পরিস্কার যে ওরা সকলেই উঠতি বয়সী। অবশ্য এ বয়সে ওদের মন থাকে চনমনে। ফুরফুরে মেজাজে চলাফেরা করা এসব যুবকরা হঠাৎই আবেগী হয়ে উঠে। অথবা হঠাৎ করে এতোটা বেশি সাহসী হয় যে, সবকিছুকেই তারা সহজ বলে মনে করে। তাছাড়া মনে আনন্দ পাওয়া সব কাজকেই ন্যয়সঙ্গত বলেই মনে করে। আর এ বয়সের যুবকদের খুব সহজেই একশ্রেণীর দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ বিপথে পরিচালনা করে থাকে। ফলে তারা বিপথে চলে গিয়ে সমাজবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়।
আর এভাবেই সমাজ বিরোধী কাজ করতে করতে তারা অপরাধ জগতে পা বাড়ায় ও একের পর এক অপরাধ করেই চলে। ওদের প্রকাশ্যে অথবা গোপনে মদদ দিয়ে তাদের আরো সাহস দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায়। নিজেকে ভাসিয়ে দেয় অপরাধের নীল চক্রান্তে। তাতে নেশা ধরে যায় তাদের। তখন সেই নেশা থেকে আর ফিরে আসতে পারে না। এভাবেই তাদের জীবন ধ্বংস হয়ে যায়।

প্রিয় সময়ে প্রকাশিত ‘চাঁদপুরে ১৪ কেজি গাঁজাসহ আটক ২’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, চাঁদপুরের হরিনা শরীয়তপুর ফেরিঘাটে আলুর বাজার পুলিশ ফাঁিড়ির অভিযানে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। ওরা দু’জনই উঠতি বয়সী।

আমরা মনে করি, এসব যুবকদের নৈতিক শিক্ষার দরকার রয়েছে। তাছাড়া তাদের পরিবারগুলোর আরো সচেতন হওয়া দরকার। কেননা ঐ যুবকদের প্রথম শিক্ষালয় হলো পরিবার অর্থাৎ তাদের মা বাবা। অবশ্য সন্তানদের সঠিক পথে পরিচালনা করবার জন্যে নৈতিক শিক্ষার যেমন দরকার রয়েছে; তেমনি কঠোর শাসনেরও দরকার রয়েছে। কিন্তু আজকাল মাবাবারা অনেক সময়ই এসব যুবকদের প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। এটা মোটেও ঠিক নয়।

অনেক সময় সন্তানদের দিকে তাকিয়ে কোনো অপরাধ করলেও যুবক সন্তানদের পক্ষে কথা বলেন। এতে এসব যুবকরা আরো প্রশ্রয় পেয়ে যায়। আর মা বাবার এমন প্রশ্রয় তারা আরো সাহসী হয়ে উঠে। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে সমাজকেই এগিয়ে আসা উচিত। যেন সামাজিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদেরকে সঠিক পথে নিয়ে আসা যায়। পাশাপাশি প্রশাসনকেও আরো কঠোর পদক্ষেপে এগিয়ে আসা দরকার। অন্যথায় উঠতি বয়সী এসব যুবকরা নষ্ট হয়ে যায়।

প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, ঐ যুবকদের পুলিশ আটক করেছে। আর তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা যে, তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে!

আমরা মনে করি, এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকা দরকার। কেননা মাদক পাচার বা বহন কর্মকান্ডে জড়িতরা দেশের যুব সমাজ ধ্বংসের প্রধান শত্রু। সুতরাং এসবের সাথে যারা জড়িত তাদের ছাড় দেয়া উচিত নয়। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে বলে আমরা মনে করি।