আমার একটা তুমি চাই

যুবক অনার্য :

আমার হতে না হতেই
হয়তো বা অন্য কারো তুমি,
হাত বদলে নেবে বহুবার-
রোদ্দুরে তুমি আমি কাটবে সারাটা দুপুর রিক্সায় নামিয়ে হুড,তারপর
বৃষ্টিতে জলভেজা হবে আরও কনজাস্টেড
অন্য কারো সঙ্গে হুড উঠিয়ে যখন সন্ধাবেলা কোমল অন্ধকার।
অন্য কত জনের সঙ্গে একসঙ্গে আমাকেও রাখবে অপেক্ষমান নীলক্ষেতে তেহারি-দোকানে-দোতলায়
ফুরাতে ফুরাতে এশট্রেতে ক্লান্ত হবে আমারও সিগ্রেট
পার্কের বেঞ্চিতে শিল্পীত ভঙিমায় রবীন্দ্র সংগীত শোনাতে গিয়ে কতজনের এলিয়ে পড়বে কাধে
আমার শিডিউল হয়তো নেক্সট শনিবার
এক হপ্তা ধরে সে কি তোলপাড় করা অপেক্ষা আর প্রহর গুণে গুণে রক্তচাপ
অতিক্রম করে যাওয়া ২০০/১২০ প্লাস
বন্ধুর ফ্ল্যাটে ১০০ রাত গোপন অভিসার রক্তক্ষরণ,
তবু সংঘাত সংঘর্ষ ভুলভুঝাবুঝি ছাড়াই হয়তো বলে দেবে- তুমি নক করবে না আমাকে কোনোদিন আর..
মেরুন রঙা বিয়ে-কার্ড পাঠিয়ে দেবে ২০০ অতিরিক্ত জনের কাছে যারা প্রত্যেকেই তোমার ব্যক্তিগত প্রতিটি ভাঁজ চিনে নেয়া প্রাক্তন
সেই কার্ড আমার কাছে পৌঁছুবে
ঠিক কতজন পেরিয়ে – জানতে পাবো কি বিন্দু বিসর্গ তার!
বিয়ের পর দৈবাৎ নিউমার্কেট কিংবা দেখা হলে রবীন্দ্র সরোবর,
বরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে – এ হলো ক্লাসমেট ক্যাম্পাসে আমাদের লাজুক আর কবিতায় নিলাজ অবিনাশ।
বরকে নিয়ে রিক্সায় তার পর – বলবে যেতে যেতে- জানো অবিনাশটা আমাকে জ্বালাতো দ্বিগুণ, সারাক্ষণ পেছনে ঘুর ঘুর ;ধমকে দিলেও অশ্লীল -শুনতো না কিছুতেই।হা হা হা।

এসব কিছুই সত্য তুমুল – ধ্রুব তারকার মতো
সত্য যে তুমি কখনোই আমার ছিলে না,
হবেও না কোনোদিন
বাসো নি বাসবে না ভালো মুহুর্ত কাল;
তবু আমার একটা তুমি চাই
তবু আমি নষ্ট হয়ে যাওয়া তোমাকেই চাই।