হাজীগঞ্জে ড্রাগন চাষে সফলতা, ফল দিবে ৪০ বছর ধরে

জহিরুল ইসলাম জয় :
চারদিকে সবুজের সমারোহ, সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফল গাছ। সবুজ গাছে শোভা পাচ্ছে গোলাপি, লাল আর সবুজ রংয়ের ফল। স্বপ্নীল পরিপাটি এ বাগানটি গড়ে তুলেছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ হাড়িয়াইন হাজী বাড়ীর মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ইব্রাহীম খলিল। নিজ বাড়ীর বিশাল আঙিনায় বিদেশি ফলের চাষ করে সফলতা মুখ দেখছেন, যার ফল দিবে প্রায় ৪০ বছর ধরে।

উপজেলার হাড়িয়াইন গ্রামের ইব্রাহীম খলিল মূলত ঢাকা থেকে জনবল নিয়োগের মাধ্যমে ড্রাগন ফল চাষ-আবাদ পরিচালনা করে আসছেন। ২০২০ সালের শুরুতে প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে এক হাজার ড্রাগনের চারা লাগিয়ে যাত্রা শুরু করেন। এক বছর পর ২০২১ সাল থেকে লাল, সাদা, হলুদ রংয়ের ড্রাগন ফল বিক্রি শুরু হয়। চলতি বছর এক এক মুড়ায় ২০/২৫ কেজি করে ফল উৎপাদন হবে। সেই সাথে গাছের লতা চারা হিসাবে পিস প্রতি ১০০ টাকা করে বিক্রি করতে পারছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফল প্রেমি ও সৌখিন ড্রাগন চাষিদের জন্য তিনি ফল ও চারা সরবরাহ শুরু করে সফলতার মুখ দেখছেন।

বাগানে দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা মফিজুল ইসলাম বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলায় আমরা ছাড়া কেউ এতো বড় ড্রাগন চাষের উদ্যোগ গ্রহন করেনি। বর্তমানে ড্রাগন গাছ কাটা থেকে ফুল, ফুল থেকে ফল হয়ে থাকে। লাল, গোলাপি, হলুদ ও সাদা জাতের ড্রাগন ফল আছে। বছরে ৬ মাস ফল দেয় যা এক এক মুড়ায় ২৫ থেকে ৩০ কেজি ফল আসা করা যায়। এভাবে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ বছর গাছ টিকে থাকবে এবং ফল দিতে থাকবে।

বাড়ী ও বাগান দেখাশুনার দায়িত্বরত মাসুম বিল্লাহ বলেন, ২০২০ সালে আমরা চাষাবাদের কার্যক্রম শুরু করি। এ বছরের কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ফল কাটা শুরু হবে। এলাকার বাজারে কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার বেশী দাম পাওয়া যায় না। তাই এ বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ড্রাগন ফল সরবরাহ করা হবে। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চিটাগাং অঞ্চলে ড্রাগন ফলের দাম বেশী পাওয়া যায়।

বাগানের মালিক ইব্রাহীম খলিল বলেন, নতুন বাগান তৈরি করা পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। শীলা বৃষ্টি বা বন্যা না হলে এ বাগান যুগের পর যুগ পর্যন্ত ফল দিবে। আসা করি আগামি বছরের মধ্যে খরচ পুষিয়ে লাভের মুখ দেখতে পাবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলরুবা খানম বলেন, কখোনো যদি সরকারি ভাবে কোন সুযোগ সুবিদা থাকে তাহলে আমরা দিতে পারবো। এমনিতে আমাদের ইউনিয়নের উপ-কৃষি কর্মকর্তাকে বলা আছে খোজখবর রাখতে।