চাঁদপুরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার ১২ ঘন্টার মধ্যে পাষন্ড স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ১২ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশি তৎপরতায় হত্যাকারী পাষন্ড স্বামী নাছিরকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। ৯ মে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর শহরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের এস আই মকবুল ও এস আই শাহরিনের নেতৃত্বে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এছাড়াও খুনের সাথে জড়িত সন্দেহ ভাজন হিসেবে নিহত গৃহবধূর শাশুড়ী ও ননদকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাঁদপুর সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনার পরপরই চাঁদপুরের পুলিশ বিভাগ ব্যাপক তৎরতা চালায়। খুনীকে সনাক্ত করতে এবং আটক করতে বিভিন্ন টিম গঠন করে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করাসহ নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়। পরে অত্যান্ত সুকৌশলে তাকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে আটক করা হয়। তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেই পারিবারিক কলহের দন্ধের কারনে এ হত্যার কথা স্বীকার করেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মে রোববার ভোর রাতে নাছির উদ্দীন ও তার স্ত্রী রুপা বেগমের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনােমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে জিদের বশবর্তী হয়ে সে স্ত্রী রুপা বেগমকে ধারালাে বটি দা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে। পরে নিজেই ভাের বেলায় সকলের অজান্তে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়।

পরবর্তীতে নিহত রুপার ছেলে সকালে ঘুম থেকে জেগে ঘরের দরজা খােলা এবং মায়ের গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে
তার ডাক চিৎকারে লােকজন ছুটে এসে হত্যার বিষয়টি দেখতে পায়। এদিকে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে
লাশ উদ্ধার করার সময় খুনী নাছিরের মা রহিমা বেগম ও শিল্পী আক্তারকে ঘটনার ক্ল উদঘাটনে থানায় নিয়ে যায়।

হত্যার ঘটনা উদঘাটনে এবং খুনীকে আটক করতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এতে খুনী নাছিরের মা ও বােনকে কৌশল অবলম্বন করে নাছিরের সাথে যােগাযােগ করার চেষ্টা করে তাকে এ ঘটনা থেকে রক্ষা করা হবে এবং পুলিশি হয়রানি করা হবো ও ঘটনার সাথে সে জড়িত না এমনটি পুলিশকে বুঝাবেত বলে, এমন আশ্বাস প্রদান করেন।

খুনী নাছিরের পরিবারের সদস্যরা তাকে এমন বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হলে সে ঢাকা থেকে রফ রফ -৭ লঞ্চে উঠে
চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। চাঁদপুর ঘাটের কাছাকাছি আসলে পুনরায় তার পরিবারকে।

জানালে পরিবারের সদস্যরাসহ পুলিশ সদস্যরা সাদা পােশাকে লঞ্চঘাটে অবস্থান করে। আর সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়।