প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বাকসু ও ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা

মাজহারুল ইসলাম :

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। ১৯৮১ সালে আজকের দিনে দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে তাঁর নির্বাসিত জীবনের ইতি ঘটে। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রায় ছয় বছর বিদেশে নির্বাসিত ছিলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করছে সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদ (বাকসু) ও সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগ। আজ মঙ্গলবার কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে ৭১ চত্তরের ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বরহামগঞ্জ কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদ (বাকসু)-এর ভিপি কাজী শাওন ইসলাম ও বরহামগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শ্রাবণ শোহাগ। এ সময় ছাত্রলীগের শিবচর পৌর শাখার সভাপতি হাবিব বেপারি, সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রয়। এছাড়া শিমুল আহমেদ, মনজুরুল হাওলাদার, রুবেল তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রায় কয়েক শত নেতা-কর্মী অংশ নেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ দেশে আসেন। সারা দেশের লাখো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানাতে ঢাকায় আসেন, ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যা করা হলেও দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দেশের বাইরে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ১৪,১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনা দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। পরে ভারত থেকে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দিনটিকে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করে।

দিবসটি উপলক্ষে বরহামগঞ্জ কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদ (বাকসু)-এর ভিপি কাজী শাওন ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। তাঁর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।