হাজীগঞ্জের পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্র এখন গলার কাঁটা

মো. মজিবুর রহমান রনি :

হাজীগঞ্জের পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্রটি গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। দূযোর্গ মোকাবেলার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শ্রেণি সংকট সমাধানে ভবনটি নির্মাণ করা হলেও ভবনটির প্রবেশ গেইটে তালা ঝুলে রয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগসহ নানা সংকটে ভবনটি ব্যবহার করতে পারছে না বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

উপজেলার ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নির্মিত বহুমুখী ঘূণিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্রটি নিমার্ণের পর ৪ বছর ধরে কোন কাজে আসেনি।

ঢাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবনটি নির্মাণের সময়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। তারা ভবনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে বুঝিয়ে না দিয়ে চলে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটিতে ৪ বছর পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ মিলেনি। ভবনের দরজা, জানালা ব্যবহারের অনুপযোগী পড়েছে। ভবনের কয়েকটি জানালার কাছ ভেঙ্গে গেছে। ভবনের দেয়ালের পলেস্তার খসে পড়ছে। বৈদ্যুতিক উপকরণ বসানোর কথা থাকলেও তা নজরে পড়েনি।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে নির্মিত ভবনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে। নির্মাণের সময়কালে ওই দপ্তরের তদারকি না থাকার কারণে ভবনের কলাম, ভীম এবং দেয়াল আঁকা-বাকা হয়ে আছে যা চোখে পড়ার মতো। দূর্যোগ মোকাবেলায় নির্মাণ করা হলেও ভবনটি নিজেই দূর্যোগের কবলে পড়ে আছে।

ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান মিলেনি।

বিদ্যালয়ের তৎকালিন সভাপতি শরীফুল ইসলাম পাটওয়ারীর অসুস্থ্যতার সুযোগে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে বিদ্যালয়ের ভবন বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে পায়তারা করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় কতৃপক্ষ আমার সাথে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।