পঞ্চগড়কে প্রথম ভূমি-গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা

এন এ রবিউল হাসান লিটন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড় জেলাকে দেশের প্রথম ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকালে ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপের এক হাজার ৪১৩টি একক গৃহসহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের নিকট জমিসহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে পঞ্চগড় জেলা সদরের সদর ইউনিয়নের মাহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন। পরে পঞ্চগড় জেলাকে প্রথম ভূমিহীন ও গৃহহীন জেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।

এ উপলক্ষে মাহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী এড. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি। জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল হক প্রধান, জেলা পরিষদ প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপংকর রায়, সদার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুল হক, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারিক, প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, ভূমি-গৃহ পাওয়া পরিবারের সদস্যসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পঞ্চগড় জেলায় তিন পর্যায়ে মোট চার হাজার ৮৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পায়। এতে মোট ১৫ হাজার ১৫৯ জন আশ্রয়হীন মানুষ তাদের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে এক হাজার ৫৭টি ও ২য় পর্যায়ে এক হাজার ৩৫৯টি পরিবারকে দুই শতক জমিসহ একক ঘর প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে এক হাজার ২১টি পরিবারকে একক গৃহ প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ জুলাই এক হাজার ৪১৩টি পরিবারকে জমিসহ একক ঘর প্রদান করার মধ্য দিয়ে পঞ্চগড়কে দেশের প্রথম ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করলন প্রধানমন্ত্রী।

এ সকল পরিবারগুলোতে স্কুলগামী শিশুর সংখ্যা দুই হাজার ৫০০ জন। জেলার প্রতিটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১-৩ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে স্কুল, হাট-বাজার, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিভিন্ন আয়বর্ধক কাজের সুবিধা।

সকল পরিবারের পেশাভিত্তিক ডাটাবেজ জেলা প্রশাসন সংরক্ষণ করেছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সুবিধা, কবুলিয়ত ও জমির নামজারী সম্পন্ন হয়েছে।