বক্স খাটে গলাকাটা লাশ

জিএম মুছা :

কতটা পাষাণ নির্মম-নিষ্ঠুর হলে, ভাদ্ররের পোয়াতি রোদেরা, খর দুপুরে অট্টহাসি হাসতে হাসতে রোদের প্রখরতা ম্লান করে দিতে পারে, নিজের চিরচেনা স্বজনরা সীমারের মতো হৃদয়হীন হতে পারে কে জানে , কোন অশুভ প্রেতাত্মা লুকিয়ে ছিল রোশনির ঘরে, জারজ বিকেলের গোপন কন্দরে ?

তালাবদ্ধ ঘরে এমন কি ঘটনা ঘটেছিল সেদিন, যা রহস্যের এক ঘেরাটোপেই থেকে যাবে, রওশনারা রোশনির মৃত্যুর রহস্য, বক্স খাটের মধ্যে অর্ধ বয়েসী সুন্দরী নারীকে গলাকেটে লাশ রেখে পালিয়ে যেতে পারে মৃত্যু দূত ?

বুকটা কেমন যেন মোষড় দিয়ে ওঠে , সারাটা রাত দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুমাতে পারিনি পূত্র রাতুল- কন্যা মুনিয়া , বুক ফাটা চাপা আত্মনাদ সারাটা রাত কুরে কুরে খেয়েছে, রোশনির মাকে বোবা কান্নায়, একটি সোনালী সকাল দেখবে বলে, সিঁদুর রাঙা আবির মেখে কখন উঁকি দেবে , ভোর সকালে ঊষার দুয়ারে লাল সূর্যটা, হঠাৎ যেন সবকিছু উলটপালট হয়ে গেল, দিনের সব আলো টুকু মূহুর্তের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে গেল, নদীর তীরে শরতে ফোঁটা কাশফুল তীব্র প্রতিবাদ জানাতে ঠায় দাঁড়িয়েছিল, হৃদয়হীন মানুষের মানবতাকে অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ করে, নরপশুরা মৃত্যুর পূর্বে রোশনি কে কতটা পবিত্রতা রেখে ছিলো ?

শুভ্র কাশফুলেরা রওশনারা রোশনির শুচি-শুভ্র নিথর দেহখানি কাফনে মুড়িয়ে দিতে,সকালের বিষাক্ত বাতাসকে একটিবারের জন্যও স্পর্শ করেনি।