চাঁদপুরে ঔষধ কোম্পানীর প্রধিনিধিকে মারধর করার অভিযোগ

স্টাফ রির্পোটার :

চাঁদপুর শহরে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বায়োজিদ বোস্তামি (৩২) নামে এক ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিকে মারধর করে গুরুতর আহত করলো দোহা ফার্মেসীর কর্মচারীরা। ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় চাঁদপুর শহরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের নিচতলায় থাকা দোহা ফার্মেসীতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত বায়োজিদ বোস্তামী শহরের ব্যাংক কলোনী এলাকায় থেকে ইউনিমেড ইউনি হেলথ কোম্পানীর প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর ফারিয়ার নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

আহত বায়োজিদ বোস্তামী জানান, অন্যান্য সময়ের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ঔষুধের অর্ডারশীট দিতে দোহা ফার্মেসিতে যান। এ সময় তিনি ফার্মেসির কর্মচারী আমজাদকে বলেন, অর্ডারশীট টি ফার্মেসীর মাহাজনের হাতে দিতে। কিন্তু আমজাদ তা নিতে রাজি হয়নি। পরে তিনি ফার্মেসীর মালিক মাসুদ রানার হাতে অর্ডারশীট পৌছে দিয়ে। আমজাদকে বলেন অর্ডার শীট টি আপনি দিলে কি এমন ক্ষতি হতো ভাই। আর এ নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফার্মেসির অন্য কর্মচারী জয় হঠাৎ করেই তাকে মারধর করতে থাকেন।

তার অভিযোগ ফার্মেসীর মালিক মাসুদ রানার উস্কানিতেই মূলত অন্যান্য কর্মচারী সজিব, অন্তু, জয়, আমজাদ মিলে তাকে কিল লাথী, ঘুষিসহ এলোপাতারি ভাবে মারধর করে তাকে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার নাকে মুখেও রক্তক্ষরণ হয় পরে। খবর পেয়ে অন্যান্য ওষুধ কোম্পানির লোকজন ও ফারিয়ার চাঁদপুরের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল থেকে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই বিষয়ে চাঁদপুর ফারিয়ার সভাপতি মোঃ শহীদ হোসেন জানান, আমাদের ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির সাথে যে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এমন ন্যাককার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা তাকে মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের সুবিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে দোহা ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী মোঃ মাসুদ রানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের দোকানে যে অর্ডার নেয়। সে না থাকার কারণে আমার কর্মচারী আমজাদ তা নিতে চায়নি। পড়ে সে আমার হাতে অর্ডার শিফটটি দিয়ে আমজাদের সাথে ঝগড়া জড়িয়ে পড়ে। আমি অনেক চেষ্টা করেছি তাদেরকে মানাতে। তবে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি বায়োজিত বোস্তামী আমার কর্মচারীর সাথে যে আচরণ করেছে তার সিসি ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। সে আমাদের দোকানে ঢুকে এই সিনকেট করা উচিত হয়নি। সে ২য় বার দোকানে এসে পুনরায় সিনকেট করার কারনে আমাদের কর্মচারীদের সাথে হাতিহাতি করার কারনে, হয়তো তার নাকের নরম জায়গা থেকে সামন্য রক্ত বের হয়েছে। তবে মারধরের তেমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। পরে তার কোম্পানীর লোকজন এবং ফারিয়ার লোকজন এসেও মুল ঘটনাটি জানতে পেরেছে।