জমিসহ ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বাদল গাজী

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী-চাঁদপুর
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির মূল দর্শনই ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তারেই সুযোগ্য কন্যা সে লক্ষ্য পূরণে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।

চাঁদপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের অফিস সহকারী বাদল গাজী থাকতেন অন্যর ঘরে, নিজের কোন জমি ছিল না। থাকতেন অন্যের জায়গায় ভাড়া। কখনো চিন্তাই করেননি নিজের ঘর হবে জমি হবে। নিজের জমিতে নিজের ঘরে থাকতে পারবেন এটা তাদের কাছে স্বপ্নের মতো। কিন্ত প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সেই স্বপ্ন পাল্টে দিলেন চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক গণ পরিষদের সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল করিম পাটওয়ারীর সুযোগ্য সন্তান, জেলা আওয়ামী লীগের ২ বারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

জমিসহ ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বাদল ও তার পরিবার।

তিনি এক প্রতিক্রিয়া বলেন আমার মা অনেক দিন আগেই মারা গেছেন। খেয়ে না খেয়ে আমরা দুই ভাই পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটতো এতদিন। আগে মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই ছিল না।

বাস্তুহারা ছিলাম, একটি ঘর আমার কাছে ছিল স্বপ্নের মতোই। চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল মহোদয় এর জন্য আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। এ খুশি আমি হয়তো বলে বোঝাতে পারবো না। তবে জমিসহ ঘরের মালিক হয়েছি ভাবতেই সুখ লাগছে।

এ ঘর সমাজে আমাকে সম্মান দিয়েছে। তাই আমি এবং আমার পরিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। থাকার জায়গা ছিল না। তাই মা মারা যাওয়ার পর থেকে আমার ছোট ভাইটিকে নিয়ে খুব কষ্টে বস্তিতে থাকতাম। হালকা ঝড়-বৃষ্টির হলেই পানি পরতো। নিদারুণ দুঃখ-কষ্টে দিন যাপনের মধ্যে আজকে এ ঘর পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম। এখন আর ঝড়-বৃষ্টিতে কষ্ট করতে হবে না- ভেবে খুবই ভালো লাগছে।

আমাকে যেই নতুন ঘরটি দিয়েছে তার পাশে সুন্দর পুকুর ও বাড়ির পাশে ফাঁকা জমি আছে। সেখানে মাছ ও সবজি চাষ করবো। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি। আর না খেয়ে থাকতে হবে না। এখন আমি সন্তানদের লেখাপড়া শেখাবো এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল এর জন্য দোয়া করবো।