শবদেহে কবিতার উল্লাস

যুবক অনার্য

আমি লুকিয়ে রাখবো না আর রাখবো না লুকিয়ে আমার বিশ্বস্ত চেতনা এইবার ঠিক এইবার
সেই সংস্কারসন্ধানী সুর ভেঙে দিয়ে ব্যক্তিগত
আমার আদিগন্ত ছিঁড়ে খুঁড়ে তুলে আনবো
হননশীল আগুন-আল্পনা কেননা নৈরাজ্যের মধ্যে আমি আবিষ্কার করেছি মানবজন্মের নিষ্কলুষ পরম্পরা আর পাপের গভীরে আমি দেখাতে চেয়েছি গড়িয়ে যাচ্ছে ধর্মের তীর্থ

মন্দির এবং মৃত্যুর মধ্যে আমি জানি
ঘটে যাবে শরীরসত্যের পুনরাবৃত্তিগুলি
এবং নির্বাসিত নক্ষত্রের গান গেয়ে
শ্মশানে ঘুমিয়ে উঠবার পর আমি জেনে গেছিলাম আমার শবদেহ পুড়িয়ে যে ছাইভস্ম তা থেকে

কবিতা ছাড়া পাওয়া যাবে না অন্য কিছুই
মাতৃগর্ভ তাই আমি মনে করি সৃষ্টিশীল কবরের
বিনিদ্র পটভূমি আর সেই কবরে আমি

জীবিত লাশ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি বলেই
হুলিয়াবিদ্ধ আমার ফেরারি কবিতাকে
তোমাদের যাবতীয় কুচকাওয়াজের বড় বেশি ভয়
পাছে যদি মাতৃদুগ্ধের মত সহস্র ধারায়
ছলকে ওঠে নিষিদ্ধ কবিতার গেরিলা হৃদয়!