আমার বন্ধু সূর্যকান্ত

যুবক অনার্য

সূর্যকান্ত এখন সিজোফ্রেনিক প্রধান সড়ক অলিগলি হেঁটে বেড়ায় অদৃশ্য কারো সংগে কথা বলে গালি দেয় খিস্তি করে।ওর প্রিয় গালির একটি হলো- ‘শালা বাঞ্চোত গভমেন্ট’। সূর্য জড়িত ছিলো না রাজনৈতিক কোনো দলে রাষ্ট্র চিন্তাও তার মধ্যে কখনো যায়নি দেখা
তবু সে রাষ্ট্র নিয়ে চিন্তিত খুব। সূর্য প্রকৃতিস্থ নয় বলেই যে তার চিন্তা অমুলক তা কিন্তু নয়। প্রায়শ তার প্রকাশ ভঙিমা বাক্য কাঠামো ঋজু ও গঠনমূলক। মস্তিষ্কে তার যুগপৎ দুইটি ধারা প্রবহমান-সুশৃঙ্খল ও বিশৃঙ্খল। সূর্যর একটা প্রেম ছিলো খুব চোস্ত প্রেম ছিলো সূর্যকান্তর। প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে অন্য কোথাও ওর অসুস্থতা ঠিক প্রেমঘটিত নয় কেননা জরি
মানে ওর প্রেমিকার বিয়ে হয়েছিলো সূর্য অসুস্থ হবারও অনেক দিন পর।আসলে এ প্রকার অসুস্থতার কারণ প্রায়শ অজ্ঞাত থেকে যায় সূর্যের বেলায়ও তাই।

সূর্য এ সমাজের উল্লেখ্যোগ্য কেউ নয় সাধারণ সাদামাটা এক তরুণ বর্তমানে সিজোফ্রেনিক এবং স্বাধীন যেহেতু সে বাক্ স্বাধীনতা যাপন করতে পারে পুরোদমে কিন্তু তার এই স্বাধীনতা এ রাষ্ট্র দেয়নি তাকে দিয়েছে সিজোফ্রেনিয়া।সম্প্রতি তার অনবরত
কথা বলার অভ্যাস কমে গেছে প্রমানপরিমাণ।

এরকম নতুন তো নয়।বছরে দু’একবার হয়েই থাকে।আজ সকালে টিটুর স্টলে দেখা হলে চা খেতে খেতে
সে বলে- আমায় তুই প্রচন্ড আঘাত করে মেরে ফেল।ভয় নেই। আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিস।

রাষ্ট্র নিজেই এ প্রথার প্রবর্তক। ভয় পাসনে অবিনাশ, তুই না আমার বুজাম ফ্রেন্ড!

‘হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিস’- সুর্যের
এমন কথায় কেউ কিছুই মনে করে না।
সবাই কাষ্ঠ হেসে বলে – সুর্য সিজোফ্রেনিক।